রাজনীতি

পাহারায় থাকুন, আক্রমণ হলে সমুচিত জবাব: কাদের

বিএনপির ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে নেতাকর্মীদের পাড়া-মহল্লায় পাহারা দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আক্রমণ হলে সমুচিত জবাব দিতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রদের যৌথসভার শুরুতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

বিএনপি বুধবার লাশ ফেলার দুরভিস্বন্ধি কার্যকর করেছে দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজ থেকে সারা দেশে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সতর্ক পাহারায় থাকবে। রাস্তায় কোনো সমাবেশ করতে দেবো না।’

তিনি বলেন, আজকে অশান্তি, বিশৃঙ্খলা করতে উসকানি দিচ্ছে বিএনপি।তাদের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে তারা আজ সংঘাতের উসকানি দিচ্ছে। সাম্প্রদায়িক শক্তি, জঙ্গিবাদী শত্রু, জঙ্গিদের মাঠে নামিয়ে লাশ ফেলার দুরভিস্বন্ধি গতকাল তারা কার্যকর করেছে।

‘রাস্তা বন্ধ করে জনগনকে কষ্ট দিয়ে সমাবেশ করা, এটা আর হতে দেওয়া হবে না। আমরাও করবো না। মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সমাবেশ আমরা মহানগর নাট্টমঞ্চে করবো। আমরা জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করবো না। তাদের কি দুরভিস্বন্ধি, যে তারা রাস্তায় সমাবেশ করতে চায়। আগুন নিয়ে খেলা করবে, ভাঙচুর করবে। এসব আমরা বুঝে গেছি।’

নেতাকর্মীদের পাড়া মহল্লায় সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের সব জেলা-উপজেলা, মহানগর, থানা, পৌরসভা, ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আজ থেকে সতর্ক পাহারায় থাকবেন। আক্রমণ আমরা করবো না, আক্রমণের উসকানি দিলে সমূচিত জবাব দেওয়া হবে।

‘এই বিজয়ের মাসে আমরা সাম্প্রদায়িক শক্তির কাছে তুলে দিতে পারি না। এটা আমাদের শপথ। অকারণে আক্রমণ আমরা করতে যাবো না। শান্ত থেকে ঠান্ডা মাথায় মোকাবিলা করতে হবে। আমাদের যেনো কোনো দুর্নাম না হয়। আক্রমণকারী হিসেবে শুরু তারা করেছে, আমরাও দেখবো।’

গণমাধ্যমের ভূমিকার কথা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকেই নিরপেক্ষতার কথা বলেন, বস্তুনিষ্ঠতার কথা বলেন, পুলিশ মেরে রাস্তা মার খেয়ে রাস্তায় পরে আছে, কেউ ছবি দিলেন না। বিআরটিসি গাড়ি, পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কেউ পত্রিকায় ছবি দিলেন না, এই দুর্ব্যবহার কেন করা হচ্ছে? সরকারি গাড়ি পুড়িয়ে ফেললো, সেই ছবি কেই দিলেন না। কেন এমনটা করা হচ্ছে? মিডিয়ার একটা অংশ কেন পক্ষ নিচ্ছে? পক্ষপাতিত্ব করছে। এটা আমার অভিযোগ।

‘শেখ হাসিনার এত উন্নয়ন, সব রেকর্ড ছাড়িয়ে উন্নয়ন করেছেন বিএনপি চোখে দেখে না, কিন্তু মিডিয়া তো দেখার কথা। আমরা সত্যকে তুলে ধরার কথা বলছি।’

বিদেশের উদ্বেগের বিষয় তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশিরা আমাদের বন্ধু, উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এটা একপেশে, এটা উচিৎ নয়। আমরা ৬ জানুয়ারির নির্বাচন দেখেছি, এখন পর্যন্ত একপক্ষ নির্বাচনকে বলা হয়েছে নির্বাচন চুরি করা হয়েছে। এটা কি? আদর্শিক গণতন্ত্র?

‘আমরা আপনাদের বন্ধু, আমাদের সঙ্গে শত্রুতা করবেন না। জনতা কার সঙ্গে সেটা যদি পাবলিক জমায়েত হয়ে থাকে তাহলে, যশোর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারের সমাবেশ দেখুন, বুঝতে পারবেন। জনগণ কি চায় বুঝতে পারবেন।’

সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সায়েম খান উপস্থিত ছিলেন।