বিশ্বকাপে টানা অষ্টমবার কোয়ার্টার ফাইনালে খেলবে ব্রাজিল। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে তারা মুখোমুখি হবে গতবারের রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়ার, যারা তৃতীয়বার শেষ আটে।
শেষ ষোলোতে নির্বিঘ্নে উঠেছিল তিতের দল। ক্যামেরুনের কাছে ১-০ গোলে হেরে গ্রুপ পর্ব শেষ করলেও তারা ‘জি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে নকআউটে পা রাখে। দক্ষিণ কোরিয়াকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ব্রাজিল কোয়ার্টার ফাইনালে।
অন্যদিকে জ্লাতকো দালিচের ক্রোয়েশিয়া মরক্কোর সঙ্গে ড্র করার পর কানাডাকে হারায়। বেলজিয়ামের সঙ্গে ড্র করায় ‘এফ’ গ্রুপের রানার্সআপ হয় ক্রোটরা। শেষ ষোলোতে জাপানের সঙ্গে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে ১-১ গোলে ড্র করে তারা। পেনাল্টি শুটআউটে ৩-১ গোলে জিতে শেষ আটে পা রেখেছে ক্রোয়েশিয়া। এনিয়ে বিশ্বকাপে তিনটি পেনাল্টি শুটআউটে অজেয় থাকলো দলটি।
শুক্রবার বিশ্বকাপে তৃতীয়বারের মতো মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল। ২০০৬ ও ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে দেখা হয়েছিল তাদের, দুটি ম্যাচই জিতেছিল ব্রাজিল। প্রথমবার বিশ্বমঞ্চে কাকার গোলে ১-০ তে জয় পায়। আর ব্রাজিল নিজেদের মাঠে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে ৩-১ গোলে হারায় ক্রোটদের, নেইমার করেন জোড়া গোল।
সব মিলিয়ে চারবারের দেখায় ব্রাজিল কখনও ক্রোয়েশিয়ার কাছে হারেনি। সবশেষ ২০১৮ সালে নেইমার ও রবার্তো ফিরমিনোর দ্বিতীয়ার্ধের গোলে ২-০ তে প্রীতি ম্যাচ জিতেছিল সেলেকাওরা। পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ক্রোয়েশিয়া কেবল একবারই হার এড়াতে পেরেছিল। ২০০৫ সালে প্রথমবারের দেখায় ড্র করেছিল দুই দল। ওইবার নিকো ক্রানকারের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ক্রোটরা, কিন্তু রিকার্ডিনহোর সমতাসূচক গোলে স্কোর ১-১ হয়।
ক্রোয়েশিয়া বনাম ব্রাজিল হেড টু হেড রেকর্ড
ক্রোয়েশিয়ার জয়: ০
ব্রাজিলের জয়: ৩
ড্র: ১
ক্রোয়েশিয়া গোল: ২
ব্রাজিল গোল: ৭
ম্যাচের ইতিহাস
১৭ আগস্ট, ২০০৫: ক্রোয়েশিয়া ১-১ ব্রাজিল (প্রীতি ম্যাচ)
১৩ জুন, ২০০৬: ব্রাজিল ১-০ ক্রোয়েশিয়া (বিশ্বকাপ)
১২ জুন, ২০১৪: ব্রাজিল ৩-১ ক্রোয়েশিয়া (বিশ্বকাপ)
৩ জুন, ২০১৮: ব্রাজিল ২-০ ক্রোয়েশিয়া (প্রীতি)