খেলাধুলা

অ্যাডিলেডেও লাবুশেনের দাপট, সেঞ্চুরির আক্ষেপ ঘুচালেন হেড

পার্থে চোট পাওয়ায় প্যাট কামিন্স খেললেন না অ্যাডিলেড টেস্টে। তার অনুপস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত নেতৃত্ব পেলেন স্টিভ স্মিথ। কিন্তু এমন ম্যাচে শুরুটা স্মরণীয় করতে পারলেন না তিনি। ডাক মারলেন। অধিনায়ক ব্যর্থ হলেও মার্নাস লাবুশেন যেখানে শেষ করেছিলেন, শুরু করলেন সেখান থেকেই।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অ্যাডিলেডে প্রথম দিন শেষে দুই সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৩৩০ রান। প্রথম টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি ও সেঞ্চুরি করা লাবুশেন অপরাজিত আছেন দশম শতকে। টেস্টের শীর্ষ র‌্যাংকিংধারী ব্যাটসম্যানের সঙ্গে থেকে সেঞ্চুরি করেছেন ট্র্যাভিড হেডও। পার্থে এক রানের জন্য সেঞ্চুরি হয়নি তার, দ্বিতীয় ম্যাচে সেই আক্ষেপ ঘুচালেন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।

অধিনায়কত্বে নিষেধাজ্ঞা বিরুদ্ধে করা আপিল প্রত্যাখ্যাত করে এই ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। নির্ভার থেকেও এই ওপেনার বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। নবম ওভার শেষ হয় তার উইকেট হারিয়ে। আলজারি জোসেফের বলে জশুয়া ডা সিলভার গ্লাভসে ওয়ার্নার ধরা পড়েন মাত্র ২১ রান করে। চারটি চার মেরে আগ্রাসী ছিলেন তিনি।

৩৪ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর উসমান খাজা ও লাবুশেন জুটি বাঁধেন। ৪০ রান করেই এই বছর এক হাজার টেস্ট রানের মাইলফলক ছোঁয়া খাজা দেখা পান হাফ সেঞ্চুরির। তিন বছর পর প্রথম অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে এক বর্ষপঞ্জিকায় হাজার রান অতিক্রম করলেন তিনি ২০১৯ সালে এই কীর্তি গড়া লাবুশেনের সামনে।

খাজা হাফ সেঞ্চুরি করে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ১২৯ বলে ৯ চারে ৬২ রানে থাকে থামান ডেভন থমাস। ৯৫ রানের এই জুটি ভাঙার পর স্মিথ বিদায় নেন দলের দুই রান যোগ হতেই। ৮ বলে কোনও রান না করে জেসন হোল্ডারের কাছে ফিরতি ক্যাচ তুলে দেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক।

তারপর বাকি দিন পার করেছেন লাবুশেন ও হেড। তাদের জুটি অপরাজিত রয়েছে ১৯৯ রানে। হেড পঞ্চম সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। ১১৪ রানে অপরাজিত তিনি। ২৩৫ বল খেলে ১১ চারে ১২০ রানে টিকে আছেন লাবুশেন।

উইন্ডিজের পক্ষে একটি করে উইকেট নেন থমাস, আলজারি ও হোল্ডার।