আইন ও অপরাধ

নয়াপল্টনে সংঘর্ষ: রিজভীসহ ৪৩৪ জন কারাগারে, রিমান্ডে ১৪

রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের মামলায় গ্রেপ্তার বিএনপির ৪৫০ নেতাকর্মীর মধ্যে ৪৩৪ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ১৪ আসামির দুই দিনের রিমান্ড এবং আমান উল্লাহ আমান ও আব্দুল কাদের জুয়েলের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার এসআই জাহিদুল আলম ৪৫০ আসামিকে আদালতে হাজির করেন। তাদের মধ্যে ১৫ জনের সাত দিনের রিমান্ড এবং ৪৩৫ জনকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও মাসুদ আহমেদ তালুকদার ১৫ আসামির রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন চান এবং ৪৩৫ আসামির জামিনের জন্য শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়।

কারাগারে যাওয়া আসামিদের মধ্যে আছেন—রুহুল কবির রিজভী, আব্দুস ছালাম, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ফজলুল হক মিলন, খায়রুল কবীর খোকন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস প্রমুখ।

রিমান্ডে যাওয়া আসামিদের মধ্যে আছেন—বিএনপির সহ-জলবায়ু সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, ঢাকা জেলা বিএনপি সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, শাহজাহান, এ কে এম আমিনুল ইসলাম, ওয়াকিল আহমেদ প্রমুখ।

আদালতে পল্টন থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম এসব তথ্য জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আহত হন অনেকে। পরে বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালানো হলে চাল, পানি, খিচুরি ও নগদ টাকা পাওয়া যায় বলে জানায় পুলিশ।

অভিযান চলাকালে নয়াপল্টন থেকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ও বিস্ফোরক আইনে পল্টন মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়।