খেলাধুলা

‘হোয়াইটওয়াশ অসম্ভব নয়’

এর আগেও এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েছিল দুই দল। ২০১৫ সালেরই ঘটনা। মোস্তাফিজের আগমনী সিরিজে ভারতকে পরপর দুই ম‌্যাচ হারিয়ে বাংলাদেশ সিরিজ জিতে নেয় অতি সহজেই। কিন্তু শেষ ম‌্যাচটায় বাংলাদেশ পারফরম‌্যান্সের ধার ধরে রাখতে পারেনি। মহেন্দ্র সিং ধোনির দল শেষ ম‌্যাচ জিতে হোয়াইটওয়াশ এড়ায়। সাত বছর পর আবার দুই দল একই অবস্থানে। 

মিরপুরে মেহেদী হাসান মিরাজের বীরোচিত পারফরম‌্যান্সে বাংলাদেশ ২-০ ব‌্যবধানে সিরিজে এগিয়ে। শনিবার সিরিজের শেষ ম‌্যাচ চট্টগ্রামে। এবার কি ভারতকে হোয়াইটওয়াশ করতে পারবে বাংলাদেশ? কাজটা অসম্ভব মনে হচ্ছে না দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদের। উল্টো আশা দেখালেন, দুই ওয়ানডেতে বাংলাদেশ নিজেদের যে জাত দেখিয়েছে সেটা অবিশ্বাস‌্য। শেষ ম‌্যাচে একই আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে নামলে ভারতকে প্রথমবারের মতো হোয়াইটওয়াশও করতে পারবে বাংলাদেশ। 

মিরপুরে খালেদ মাহমুদ বলেছেন, ‘অবশ্যই সম্ভব (হোয়াইটওয়াশ)। স্বপ্ন দেখি। আমরা যদি ভালো ব্যাট করি, ভালো জায়গায় বল করি, আরেকটা জয় খুবই সম্ভব। ওয়ানডে ক্রিকেটে আমরা যে কোনও দলকে হারাতে পারি। সেই সাহস ও সামর্থ্য দুটোই আমাদের আছে। সেই বিশ্বাস নিয়ে যদি আমরা মাঠে নামতে পারি, চট্টগ্রামেও জয় সম্ভব।’

ছেলেদের পারফরম‌্যান্স, তাদের নিবেদন, লড়াকু মনোভাব সবকিছুতে দারুণ মুগ্ধ খালেদ মাহমুদ। ব‌্যক্তিগত কাজে এবার তিনি দলের সঙ্গে নেই। তবে দূরে থেকেও ভেতরের সবকিছু জানছেন তিনি। দলের ভাবনা, পরিকল্পনা সবকিছুকেই সেরা মনে হয়েছে তার কাছে, ‘এক কথায় দারুণ। এই সংস্করণে যে আমরা শক্তিশালী বা জিততে জানি, কিংবা ভারতের বিপক্ষে আগের সিরিজটাও ঘরের মাঠে আমরা জিতেছিলাম ২০১৫ সালে। ওই সুখস্মৃতি তো ছিলই। তবে দুটি ম্যাচেই আমরা যেভাবে জিতলাম, এতে আমাদের ‘ক্যারেকটার’ ফুটে ওঠে। মিরাজ, মাহমুদউল্লাহ, কালকে মোস্তাফিজ ছিল অসাধারণ। প্রথম ম্যাচে শেষ জুটিতে পঞ্চাশের বেশি করে জয়, কালকে ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর আমরা কেউ আশা করিনি বা বাংলাদেশের কেউ হয়তো আশা করেনি যে এত রান করতে পারবো। ভেবেছিলাম ২২০-২৩০ করতে পারলেও অনেক ভালো হবে। সেখান থেকে ২৭১ করতে পারা আমাদের দারুণ চরিত্রই ফুটিয়ে তোলে। মিরাজ অনেক পরিণত হয়েছে। আমরা সবসময় মিরাজকে বোলিং অলরাউন্ডার চিন্তা করি, এখন ওকে ব্যাটিং অলরাউন্ডার ভাবতে হবে, সত্যি কথা বলতে।’ 

তবে শেষ ম‌্যাচে জয়ের পাশাপাশি ঘাটতির জায়গাগুলোতেও উন্নতি চান খালেদ মাহমুদ, ‘আমরা এখনও আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলতে পারিনি। যদিও দুটি ম্যাচ আমরা জিতেছি। তবে টপ অর্ডার থেকে আরও বেশি আশা করি, আরও ভালো ব্যাটিং, আরও ভালো কিছু করতে পারি। বোলারদের পারফরম্যান্সে আমি খুবই খুশি, বিশেষ করে চাপের মধ্যে তারা যেরকম বোলিং করেছে। এখন টপ অর্ডারে একটা বড় জুটি, কারও বড় রান দেখার অপেক্ষায়। চট্টগ্রামের উইকেটে যা খুবই সম্ভব।’