খেলাধুলা

লিটনের এক মার্কসও কাটতে পারলেন না সুজন

চট্টগ্রামের বিমানে চেপে ফেসবুকে বার্তা দিয়ে রাখলেন লিটন দাস, ‘মিশন শেষ করতে আরেক ধাপ যেতে হবে। চলো কাজটা করে দেখাই।’ অধিনায়ক লিটনের এমন বার্তা এতক্ষণে নিশ্চয়ই দেখে ফেলেছেন সতীর্থরা। প্রথমবার অধিনায়কত্ব করতে নেমে ভারতের মতো দলের বিপক্ষে টানা দুই জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করেছেন। হোয়াইটওয়াশ করলে ইতিহাসের অক্ষয় কালিতে লেখা হয়ে যাবে তার নাম। কেন হাতছাড়া করবেন এমন সুযোগ? তাই তো জয় দিয়েই মিশন শেষ করতে চান সাহসী লিটন। 

এই সিরিজে লিটনের ব‌্যাট কথা বলেনি। তবে তিনি মুগ্ধ করেছেন তার অধিনায়কত্বে। চাপে পড়া ভারত যখনই প্রতিরোধের চেষ্টা করছে, লিটন বোলিংয়ে পরিবর্তন এনে নতুন কিছু করতে চেয়েছেন। ফলও মিলেছে। বোলারদের সঙ্গে বারবার কথা বলা, ফিল্ডিং সাজানো থেকে দলকে অনুপ্রাণিত করা সব কিছুতেই তাকে দেখা গেছে ভীষণ সম্পৃক্ত। তামিমের অনুপস্থিতিতে লিটন পারবেন কি না তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু লিটন ঠিকই মাঠে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। 

গত জুনে লিটনের অধিনায়কত্ব নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনও। মুমিনুলের পরিবর্তে লিটনকে অধিনায়ক করার ব‌্যাপারে আলোচনা হচ্ছিল। কিন্তু খালেদ মাহমুদ লিটনকে বেছে নিতে আগ্রহী ছিলেন না। তিনি বলেছিলেন, ‘এটা বড্ড তাড়াতাড়ি হয়ে যায় (লিটনের জন্য)… লিটন খুব অন্তর্মুখী ধরনের একটা ছেলে। আমি অধিনায়ক সবসময় বহির্মুখী পছন্দ করি। আমার ব্যক্তিগত ভাবনা হলো, লিটনের ক্রিকেট মস্তিষ্ক খুব তীক্ষ্ন, ক্রিকেট জ্ঞান খুব গভীর। ক্রিকেটের পেছনেই থাকে সে। তবে এটা তো যুক্তি-তর্কের কিছু নয়। এমন কাউকে দিতে হবে, যে কি না সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারে।’

সেই সুজন এখন লিটনকে স্তুতিতে ভাসালেন। মাঠে তার সম্পৃক্ততা, অধিনায়কত্ব সব কিছুতেই মুগ্ধ তিনি, ‘আমি লিটন দাসকে খুব পছন্দ করি। আমি মনে করি, সে খুবই জ্ঞানসম্পন্ন একজন ক্রিকেটার। জ্ঞানী একটা ছেলে। সে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। যেভাবে সে অধিনায়কত্ব করেছে, সাহসের পরিচয় দিয়েছে এবং আগ্রাসী অধিনায়কত্ব করেছে, তা দারুণ। আমি সবসময় আগ্রাসী অধিনায়কদের পছন্দ করি, যারা পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে এভাবে অধিনায়কত্ব করে। আমি লিটনের নেতৃত্ব বলবো একশতে একশ।’ 

লিটনকে নিয়ে প্রথম ওয়ানডে শেষে প্রশংসা করেছিলেন দলের জয়ের নায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ, ‘দাদা তো মাশাল্লাহ ভালো অধিনায়কত্ব করেছে। যে বদলগুলো করেছে খুব ভালো করেছে। যাকে যখন আনা দরকার বল করতে এনেছে, সেখানেই করিয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা প্রথমবার ওয়ানডেতে অধিনায়কত্ব করেছে এটা মনেই হয়নি। খুব ভালো সহযোগিতা করেছে সবাই। বোলাররা যারা ছিল তারা সবাই সাপোর্ট করেছে, ফিল্ডাররা সাপোর্ট করেছে। এজন্য তার কাজটা আরও সহজ হয়ে গিয়েছে।'