দেশে প্রথমবারের মতো মেট্রোরেলের প্রাথমিক পর্যায়ে এমআরটি-৬ উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত উদ্বোধন করা হবে বুধবার (২৮ ডিসেম্বর)। উদ্বোধনের পরেরদিন বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) টিকিট কেটে নাগরিককেদের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
মেট্রোরেল উদ্বোধনের পর দুই থেকে তিন মাস কম যাত্রী নিয়ে চলাচল করবে ট্রেনগুলো। প্রথম দিকে সকাল এবং বিকেলে কিছুক্ষণ ট্রেন চলবে। সব মিলিয়ে দিনে চলবে পাঁচটি ট্রেন। যদিও পরবর্তী সময়ে প্রতি চার মিনিট পরপর ট্রেন চলার কথা রয়েছে।
মেট্রোরেল এমআরটি-৬ ছাড়াও ঢাকা শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট নিরসনে সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে আরও পাঁচটি মেট্রোরেলের মাধ্যমে একটি যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে।
মেট্রোরেল লাইন-৬ পুরোপুরি চালু হলে শুরুতে দৈনিক ৪ লাখ ৮৩ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতে পারবে বলে জানিয়েছে ডিএমটিসিএল। ছয়টি মেট্রোরেল লাইন চালু হলে দৈনিক ৫০ লাখ যাত্রী পরিবহন করা যাবে। শুধু লাইন-৬ চালু হলে ঢাকায় কার্বন নিঃসরণ ২ লাখ টনের মতো কমবে।
লাইন-৬ এর পর কাজ শুরু হবে লাইন-১ এর। এমআরটি লাইন-১ এর দুটি পথ। প্রথমটি কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত। এটি পুরোপুরি পাতালপথে হবে। দ্বিতীয় পথটি যাবে নতুন বাজার থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত, যা হবে উড়ালপথে। পুরো নির্মাণে খরচ হবে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা। ২০২৬ সালে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
লাইন-১ এর নির্মাণ প্রকল্পে গত অক্টোবরে জাপান, ফ্রান্স, ভারত ও বাংলাদেশের আট প্রতিষ্ঠানকে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মূল নির্মাণকাজ আগামী জুনে শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে।
মেট্রোরেল লাইন-৫ সাভারের হেমায়েতপুর থেকে শুরুর পর মিরপুর ১০ নম্বর সেকশন ও গুলশান হয়ে ভাটারা যাবে। মেট্রোরেল লাইন-৫ গাবতলী থেকে মিরপুর রোড ধরে গিয়ে পান্থপথ, হাতিরঝিল, রামপুরা, আফতাবনগর থেকে দাশেরকান্দি গিয়ে থামবে।
লাইন-২ শুরু হবে গাবতলী থেকে। এরপর বছিলা, মোহাম্মদপুর, ঝিগাতলা, নিউমার্কেট, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ, গুলিস্তান, আরামবাগ, কমলাপুর, মুগদা হয়ে চট্টগ্রাম রোডে গিয়ে শেষ হবে। এমআরটি লাইন-৪ হবে কমলাপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত।
সব মিলিয়ে ছয়টি মেট্রোরেল লাইন ২০৩০ সালের মধ্যে চালুর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।