জাতীয়

ভারত চাহিদামতো পণ্য দেবে: বাণিজ্যমন্ত্রী

ভারত বাংলাদেশের চাহিদা মোতাবেক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের নিশ্চয়তা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

তিনি বলেন, ‘প্রতিবছর বাংলাদেশ প্রয়োজনীয় চাল, গম, চিনি, পেঁয়াজ, রসুন, আদা এবং ডাল আমদানি করে থাকে। অনেক সময় ভারত হঠাৎ করে পণ্য রপ্তানি নিষিদ্ধ করে। এর ফলে বাংলাদেশকে সমস্যায় পড়তে হয়। ভারত সরকার এসকল নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বাংলাদেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে বার্ষিক কোটা নির্ধারণ করতে সম্মত হয়েছে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী (২৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সম্প্রতি তার ভারত সফরের পর সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানি পণ্য পাটজাত সামগ্রী ভারতে রপ্তানির ক্ষেত্রে এন্টি ডাম্পিং ডিউটি আরোপ করেছে। এ ডিউটি প্রত্যাহারের বিষয়ে ভারত সরকার সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী সাথে আলোচনা করে কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (সেপা) নামে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য একমত হয়েছিলেন। সেটা যাতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পাদন করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা করে একমত হওয়া গেছে। অল্প সময়ের মধ্যে চুক্তিটি স্বাক্ষর হবে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক ফোরামে পারস্পরিক সহযোগিতা প্রদান এবং বিভিন্ন প্রকার শুল্ক /অশুল্ক বাধা অপসারণের মাধ্যমে বাণিজ্য সহজিকরণ, ভারত হতে উচ্চ ফলনশীল রাবার ক্লোন আমদানি, ব্যবসায়ীদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী ভিসা প্রদানের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে, ভারত এ সকল বিষয়ে বাংলাদেশকে আন্তরিক ভাবে সহযোগিতা করবে।

বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যে বিনিময় মাধ্যম হিসেবে ডলারের পরিবর্তে ভারতীয় রুপী ব্যবহারের বিষয়ে ভারত প্রস্তাব দিয়েছে।

উল্লেখ্য, দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ভারতের পক্ষে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী শ্রী পিয়ুশ গয়াল এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করেন। সফরকালে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ভারতের অর্থমন্ত্রী শ্রীমতি নির্মলা সীতারামন এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) নূর মো. মাহবুবুল হক, ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান ও অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. রহিম খান উপস্থিত ছিলেন।