আন্তর্জাতিক

তীব্র চাপে চীনের হাসপাতাল ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া প্রতিষ্ঠান

করোনার সংক্রমণ বাড়ায় চীনা হাসপাতাল ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলো তীব্র চাপের মধ্যে রয়েছে। বুধবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

৭ ডিসেম্বর চীন শূন্য কোভিড নীতি থেকে সরে আসে এবং সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আরোপিত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নেয়। এরপর থেকেই দেশটিতে করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে।

কিছু আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া মানে কোভিড ব্যাপকভাবে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ছড়িয়ে পড়ছে এবং সম্ভবত দিনে ১০ লাখের বেশি মানুষকে সংক্রামিত করছে।

চীন যে গতিতে, বিশ্বের সর্বশেষ প্রধান দেশ ভাইরাসটিকে স্থানীয় হিসাবে চিকিত্সা করার দিকে এগিয়ে চলেছে, কোভিড নিয়মগুলি বাতিল করেছে তা তার ভঙ্গুর স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে অভিভূত করেছে।

চীন মঙ্গলবার করোনায় তিন জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে। সোমবারের তুলনায় এই সংখ্যা এক বেশি। তবে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলো যে তথ্য সরবরাহ করছে তার সঙ্গে সরকারি এই তথ্য অসামঞ্জস্যপূর্ণ।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর চেংডুর একটি বড় হাসপাতালে হুয়াক্সির কর্মীরা জানিয়েছেন, তারা কোভিড রোগীদের নিয়ে ‘অত্যন্ত ব্যস্ত’ ছিলেন।

হাসপাতালের বাইরে একজন অ্যাম্বুলেন্স চালক বলেছেন, ‘আমি ৩০ বছর ধরে এই কাজটি করছি এবং এটি আমার জানামতে সবচেয়ে ব্যস্ততম সময়।’

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগ এবং সংলগ্ন ফিভার ক্লিনিকে ভেতরে ও বাইরে দীর্ঘ লাইন ছিল। অ্যাম্বুলেন্সে আসা বেশিরভাগকে তাদের শ্বাস নিতে সহায়তা করার জন্য অক্সিজেন দেওয়া হয়েছিল।

জরুরি বিভাগের ফার্মেসি কর্মী বলেছেন, ‘প্রায় সব রোগীরই কোভিড আছে।’

চেংডুর সবচেয়ে বড় ডোংজিয়াও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া প্রতিষ্ঠানের চারপাশে গাড়ি দিয়ে পূর্ণ ছিল। শ্মশান থেকে ক্রমাগত ধোঁয়া বের হচ্ছিল।

একজন অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া কর্মী বলেন, ‘আমাদের এখন দিনে প্রায় ২০০ বার এটি (দাহ) করতে হচ্ছে। আমরা এত ব্যস্ত যে আমাদের খাওয়ার সময়ও নেই। সকাল থেকেই এমনটা হয়ে আসছে। আগে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০ মৃতদেহ দাহ হতো।’

আরেক কর্মী বলেছেন, ‘যাদের দাহ করা হচ্ছে তাদের অধিকাংশই করোনায় মারা গেছেন।’