সারা বাংলা

সেই ইউপি চেয়ারম্যান দুই দিনের রিমান্ডে

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেকমত সিকদারকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। 

সোমবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে ঘাটাইল-বাসাইল আমলী আদালতের বিচারক ফারজানা হাসনাত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক তানভীর আহমেদ। 

তানভীর আহমেদ জানান, আজ সকালে টাঙ্গাইল কারাগার থেকে হেকমত সিকদারকে আদালতে আনা হয়। রিমান্ড মঞ্জুরের পর হেকমত সিকদারকে কারাগারে পাঠানো হয়। সেখান থেকে সিআইডির সদস্যরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেবেন।

আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে আলোচিত ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে, মিষ্টি বিতরণ

টাঙ্গাইল সিআইডি’র পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান আকন্দ জানান, তারা সরেজমিনে ঘটনার পূর্বাপর তদন্ত শেষে রোববার দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে হেকমত সিকদারকে গ্রেপ্তার করেন। আজ তাকে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৮ মার্চ ঘাটাইলের সাগরদীঘি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাত ৩টায় গুলিতে আব্দুল মালেক (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়। পরদিন গুপ্তবৃন্দাবন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।  পরে ২ এপ্রিল আব্দুল মালেকের স্ত্রী মর্জিনা বেগম বাদী হয়ে ঘাটাইল থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি একাধিক সংস্থার তদন্তের পর সিআইডিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সাগরদিঘী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হেকমত সিকদারের লোকজন ব্যালট পেপারে ছিল মারছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুল্লাহ বাহারের সমর্থকসহ এলাকাবাসী সেখানে উপস্থিত হন। এসময় স্কুল ঘরের ভেতর থেকে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশও গুলি চালায়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আব্দুল মালেক নিহত হন। 

নিহত আব্দুল মালেক গুপ্তবৃন্দাবন গ্রামের বাসিন্দা নেছার উদ্দিনের ছেলে। 

এ ঘটনায় ২ এপ্রিল নিহত আব্দুল মালেকের স্ত্রী মর্জিনা বেগম বাদী হয়ে ঘাটাইল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি একাধিক তদন্তকারী সংস্থা তদন্তের পর সিআইডিকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।