সারা বাংলা

বগুড়ায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী-গ্রামবাসী সংঘর্ষ: আহত ৩

বগুড়া শেরপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এবং গ্রামবাসীদের মধ্যে সংঘর্ষে তিনজন আহত হয়েছেন। 

বুধবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের আম্বইল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- উজ্জ্বল ও সুজ্জল। তারা এলাকায় ওয়েস্টার্ন  এগ্রো প্রোডাক্ট লিমিটেড নামক একটি কোম্পানিতে শ্রমিকের কাজ করেন। অন্যজন হলেন প্রতিবন্ধী ফারুক।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৮ জানুয়ারি (রোববার) জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এবং গ্রামবাসীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেসময় ৬০ জন আহত হয়েছিলেন। পরে জমির মালিকানা সংক্রান্ত বিরোধ মীমাংসার জন্য স্থানীয় গ্রামবাসী এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষ গতকাল মঙ্গলবার শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে আলোচনায় বসেন। সময় উভয় পক্ষের একজন করে আইনজীবী ছিলেন। ইউএনও আইনের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত উভয় পক্ষকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানান।

কিন্তু আজ সকালে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর উজ্জ্বল ও সুজ্জল কোম্পানিতে কাজের জন্য যান। এ সময় কোম্পানি গেটে ফারুককে লক্ষ্য করে উসকানিমূলক কথা শুরু করেন এবং ফারুককে লাঠি নিয়ে পিটিয়ে আহত করেন। এসময় দুই পক্ষের ধস্তাধস্তিতে উজ্জ্বল ও সুজ্জল আহত হন। পরে গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বগুড়া ভূমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটির সভাপতি কমল সিং অভিযোগ করেন, বাজারে আমাদের দুজনকে স্থানীয় বাসিন্দারা পিটিয়ে আহত করে। তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসতে আমাদের আরও লোকজন কোম্পানির সামনে যায়। তাদের দেখে অন্য পক্ষ হামলা করেছে। তখন বিষয়টি ঘোলাটে হয়ে যায়। তবে এরপর প্রশাসনের লোকজন আসার কারণে আর কিছু হয়নি। 

গ্রামের বাসিন্দা জাফর উদ্দিন বাচ্চু জানান, গত রোববার এখানে জমি নিয়ে সংঘর্ষ হয়। এরপর প্রশাসনের লোকজন এই বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ১০ দিন শান্তিপূর্ণ অবস্থানে থাকতে বলেন। সুতরাং আমাদের হামলা করার কোনো কারণ নেই। কিন্তু তারা উসকানি দিচ্ছে সংঘর্ষের। নিজেদের রক্ষা করার জন্য গ্রামবাসীকে সাবধান হতে বলা হয়েছিল। 

শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান জানান, অতি আগ্রহী লোকজনের কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যাওয়ার কারণে কোনো অপ্রতিকর কিছু ঘটেনি।  

শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা সুলতানা বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত এই ঘটনা নিয়ে দুই পক্ষের লোকজন গতকাল আমার অফিসে বসেছিলেন। তারা ১০ দিন সময় নিয়েছেন কাগজপত্র গুছিয়ে বসার জন্য। কিন্তু এর মধ্যেই এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।