খেলাধুলা

বাংলাদেশ কমপ্লিট প্যাকেজ, শুধু একটাই অভিযোগ তা হলো ট্রাফিক: শোয়েব মালিক

২১ বছর আগে বাংলাদেশে প্রথম পা পড়েছিল পাকিস্তানি ক্রিকেটার শোয়েব মালিকের। জাতীয় দলের হয়ে ঢাকায় খেলতে এসেছিলেন ওয়ানডে সিরিজ। সেই থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশে বহুবার এসেছেন। কখনো জাতীয় দলের জার্সিতে দ্বিপক্ষীয় সিরিজে। কখনো বিশ্বকাপে। কখনো ঢাকা লিগে। আবার কখনো বিপিএলে খেলতে।

১৯৯৭ সাল থেকে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে পথ চলতে শুরু করা এ ক্রিকেটার এখনও খেলে বেড়াচ্ছেন। টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেটকে গুডবাই বলেছেন। খেলে যাচ্ছেন টি-টোয়েন্টি। সেই সুবাদেই তার পাসপোর্টে আবার পড়েছে বাংলাদেশের ভিসা। বিপিএল খেলতে তাকে উড়িয়ে এনেছে রংপুর রাইডার্স। খেলার কারণে বহুবার বাংলাদেশে আসায় এদেশ সম্পর্কে সব তার জানা। মানুষের আতিথেয়তা, সংস্কৃতি, খাবার-দাবার সবকিছুই তার পছন্দের। তবে অভিযোগও আছে। সেই অভিযোগ ট্র্যাফিক। ট্র্যাফিক বাদে বাংলাদেশের সবকিছুই তার কাছে কমপ্লিট প্যাকেজ।

সিলেটে শোয়েব মালিক বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ আমি খুব ভালোবাসি। তারা খুবই সৌহার্দ্যপূর্ণ। তারা মাঠে আসে এবং দলকে মন থেকে সমর্থন করে। এখানকার খাবারও খুব ভালো লাগে আমার, মাছ খুব পছন্দ করি। বাংলাদেশে যখন আসি, তখন সবকিছু মিলিয়েই একটা কমপ্লিট প্যাকেজ পাই। একটা ব্যাপারেই শুধু অভিযোগ, তা হলো ট্র্যাফিক।’

শুধু বাংলাদেশের আতিথেয়তা নিয়ে কথা বলেননি এ ক্রিকেটার। ক্রিকেটেরও খোঁজখবর রেখেছেন। তরুণ ক্রিকেটারদের বেশ প্রতিশ্রুতিশীল মনে হচ্ছে তার কাছে। বাংলাদেশ দেশের বাইরে গিয়ে ম্যাচ জিততে সেটাও খুব বড় করে বলেছেন এ অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।

‘বাংলাদেশের ক্রিকেটে অনেক কিছুই বদলে গেছে। এখানকার ক্রিকেটের পরিচিত আছে এখন বিশ্বের সব জায়গায়। তারাও তো এখন বিশ্বের নানা জায়গায় লিগগুলোতে সুযোগ পাচ্ছে। নিজেদের কন্ডিশনে বাংলাদেশের সাফল্যের হার তো দুর্দান্ত।’

‘একটা জায়গায় তাদের এখনও উন্নতির জায়গা আছে, তা হলো দেশের বাইরের পারফরম্যান্সে। তবে এই দেশে প্রতিভার কথা যদি বলি, যথেষ্টই আছে। এখন প্রয়োজন হলো তাদেরকে পর্যাপ্ত সুযোগ দেওয়া, যেন তারা নিজেদের খেলায় উন্নতি করতে পারে এবং দেশের বাইরেও ভালো করতে পারে।’

রংপুরে শোয়েব মালিকের সঙ্গে একই ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করছেন মোহাম্মদ রফিক। যিনি দলের পরামর্শক হয়ে কাজ করছেন। এ দলে কোচ হিসেবে আছেন সোহেল ইসলাম। ব্যাটিং কোচ আফতাব আহমেদ। কোচিং স্টাফদের সবাই স্থানীয়। স্থানীয় সবাইকেই শোয়েব মালিকের মনে ধরেছে।

নেটে নিয়মিত মালিককে বোলিং করছেন রফিক। এছাড়া দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে ফুটবল খেলছেন, ফিটনেস ট্রেনিংয়েও অংশ নিচ্ছেন। রফিককে এখনও বেশ চনমনে মনে হচ্ছে শোয়েবের, ‘আমি তাকে বয়স জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনি বললেন যে তার বয়স ৫৭ বছর। তবে এখনও তিনি নেটে যেভাবে বল করেন, এমনকি (গা গরমের) ফুটবলে তিনি যেভাবে খেলেন, এখনও তিনি বেশ ফিট।’

‘তার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলেছি। দেশের জন্য তিনি সত্যিই ভালো করেছেন। মানুষ হিসেবেও তিনি দারুণ। কোচিং স্টাফের অন্যরাও ক্রিকেটারদের নানাভাবে সাহায্য করেন। এই কোচিং স্টাফ বেশ তরুণ হলেও তাদের সবচেয়ে ভালো দিক হলো, ম্যাচ হারলেও তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন না। এটিই সবচেয়ে জরুরি। কৃতিত্ব তাই তাদের প্রাপ্য। গোটা দলকে একসুঁতোয় গেঁথে রাখছেন তারা। অনুশীলনের সম্ভাব্য সেরা সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন তারা।’