’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের কথা মনে পড়লেই যে ছবিটি চোখের সামনে ভেসে ওঠে, সেটি হলো মিছিলের অগ্রভাগে একটি রুগ্ন শিশু স্লোগানে কণ্ঠ মেলাচ্ছে। সেই ছবিটি এই প্রজন্মের কাছেও বহুল পরিচিত। তবে, কখনও আর চিত্রপটে আসেনি সেই শিশুটি। ৫৪ বছর পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে ওঠে এসেছে তার কথা। নাম তার হোসেন আলী। বঙ্গবন্ধু যাকে ভালোবেসে নাম দিয়েছিলেন ‘পালোয়ান’।
বিখ্যাত ফটো সাংবাদিক রশিদ তালুকদারের তোলা ছবির সেই শিশুটিই আজকের হোসেন আলী কিনা! সেটা নিয়ে তর্ক চলছে, হয়েছে অনেক কথাই। তবে, দিনশেষে হোসেন আলী তার অতীত স্মৃতিচারণ করে বার বার এটাই বলতে চান, তিনিই সেই পালোয়ান।
এই পালোয়ানকে নিয়ে এবার আক্ষেপ করলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানি।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) রাব্বানি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ‘পালোয়ানকে’ নিয়ে একটি পোস্ট দেন। লিখেন, ‘হায় স্বাধীনতা! কত যুদ্ধাপরাধী রাজাকার অর্থ ক্ষমতার বলে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট নিয়ে দেশ দাপিয়ে-কাঁপিয়ে বেড়ায় আর ’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের সেই তীব্র চাহনি, শক্ত চোয়াল, মুষ্টিবদ্ধ হাতের প্রতিবাদী শিশু (বঙ্গবন্ধুর আদরের পালোয়ান) হোসেন আলী চাচা এখনও জীবন-জীবিকার সংগ্রামে লিপ্ত!’
‘পেটের দায়ে আগে রিকশা চালাতেন, এই বয়সে শরীরে কুলোয় না বলে এখন নৈশপ্রহরীর কাজ করেন!’
উল্লেখ্য, হোসেন আলী জীবনযাপনের তাগিদে বর্তমানে মগবাজারে একটি ভবনে নৈশপ্রহরীর কাজ করেন। তার এক ছেলে ও তিনি মেয়ে রয়েছে। তিন মেয়েই বিবাহিত। তবে, ছেলে উজ্জ্বল হোসেন দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে রং মিস্ত্রীর কাজ করেন।