সারা বাংলা

ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ৭১ হাজার হেক্টর জমিতে 

চলতি রবি মৌসুমে দিনাজপুরের কৃষকরা ধান ও গমের পাশাপাশি ভুট্টা আবাদে মন দিয়েছেন। এ মৌসুমে জেলায় ভুট্টার বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন কৃষকরা।

দিনাজপুর কৃষি অধিদপ্তর জানায়, চলতি মৌসুমে ৭১ হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

জেলার বিভিন্ন উপজেলার ভুট্টার ক্ষেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা ভুট্টার গাছের পাশ দিয়ে আইল দিয়েছেন। তার সঙ্গে পানি সেচ দিয়ে ইউরিয়া সার ছিটিয়ে দিয়েছেন। ভুট্টার প্রতিটি গাছে ইতোমধ্যে ফল ধরতে শুরু করেছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রথমে ২০ কেজি পটাস, ২৫ কেজি ফসফেট, ১০ কেজি জিপ সার, ১ কেজি বরন, ১ কেজি দানাদার ও ১ কেজি সালফার মাটির সঙ্গে মিশিয়ে জমি তৈরি করেন চাষিরা। পরে বিঘাপ্রতি ৩ কেজি ভুট্টার বীজ রোপণ করেন তারা। এক মাসের মাথায় আইল বেঁধে বিঘাপ্রতি ২৫ কেজি ইউরিয়া, ২০ কেজি ডেপ ও ২ কেজি থিওভিট ছিটিয়ে ক্ষেতে পানি সেচ দেন । বীজ রোপণের ৯০ দিনের মধ্য ভুট্টা কাটা-মাড়াই করে থাকেন কৃষকরা।

ভুট্টার বীজ রোপণ থেকে কাটা-মাড়াই পর্যন্ত বিঘাপ্রতি কৃষকের খরচ হয় ১০ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা। ভালো ফলন হলে প্রতি বিঘায় ৪০ থেকে ৫০ মণ ভুট্টা উৎপাদন হয়। 

হাকিমপুর উপজেলার ভুট্টা চাষি আজিজার রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘গতবার আমি ২ বিঘা জমিতে ভুট্টার চাষ করেছিলাম। দামও ভালো পাইছি। তাই এবছর ৩ বিঘা জমিতে সফলটি আবাদ করছি। আশা করছি ভালো ফলন পাবো।’

মোস্তাফিজুর রহমান নামে অপর এক চাষি বলেন, ‘প্রতি বছর আমি এক বিঘা করে ভুট্টার আবাদ করি। এ বছরও আবাদ করছি, দেখি কেমন হয়। অল্প জমি তাই নিজেই সব কাজ করি, এতে খরচ কম হয়। আশা করছি এবার ভুট্টার ভালো দাম পাবো।’

হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার ড. মমতাজ সুলতানা বলেন, হিলিতে এবার ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩১৫ হেক্টর জমিতে। ইতোমধ্যে তা অর্জন হয়েছে। আলুচাষিরাও ক্ষেত থেকে আলু তুলে ভুট্টা চাষ করেছেন। আমরা সরকারিভাবে ২৫০ জন ভুট্টা চাষিকে ২ কেজি হাইব্রিট ভুট্টা বীজ ও ৩০ কেজি সার বিনামূল্যে বিতরণ করেছি। আশা করি আগামীতে ভুট্টা চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে।’

দিনাজপুর জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নুরুজ্জামান বলেন, ‘চলতি রবি মৌসুমে ৭১ হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৭০ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হয়ে গেছে। আশা করছি ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা পেরিয়ে যাবে।’