ক্যাম্পাস

প্রত্নতত্ত্ব অনুসন্ধানে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে প্রত্নতত্ত্ব অনুসন্ধান শুরু করেছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় ও চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা।

রায়গঞ্জের ধামাইনগর ইউনিয়নের ক্ষীরতলা এলাকায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রত্নতাত্ত্বিক মো. রিফাত-উর-রহমানের তত্ত্বাবধানে শনিবার থেকে এই অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।

মো. রিফাত-উর-রহমান জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা ২০১৮ সাল থেকে রায়গঞ্জ উপজেলার ধামাইনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধান অব্যাহত রেখেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় আবারও অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। যেহেতু ক্ষীরতলায় প্রত্নস্থলগুলো এখনো বিজ্ঞানভিত্তিক উপায়ে অনুসন্ধান করা সম্ভব হয়নি, তাই প্রত্নতাত্ত্বিক উৎখননও শুরু হয়নি। প্রত্নতাত্ত্বিক কর্মকাণ্ড অত্যন্ত জটিল ও দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া।

তিনি আরও বলেন, ১৪টি প্রত্নস্থল শনাক্ত করা হয়েছে এবং একই সঙ্গে প্রত্নস্থলের তথ্য-উপাত্ত নিয়ে গবেষণা চলছে। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহ আজম প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানের বিষয়ে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করছেন। অনুসন্ধান শেষ করে আমরা প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সঙ্গে যৌথভাবে উৎখননের মধ্য দিয়ে আরও বিস্তৃত পরিসরে ক্ষীরতলায় প্রত্নস্থলগুলো সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাবো।

ক্ষীরতলা গ্রামের একটি বড় ঢিবিকে স্থানীয়রা বিরাট রাজার ঢিবি অভিহিত করেন। এছাড়া গ্রামের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের প্রত্নবস্তু এবং প্রাচীন ইটের ধ্বংসাবশেষ। ষাটের দশকের বিখ্যাত প্রত্নতাত্ত্বিক আবুল কালাম মো. জাকারিয়া ক্ষীরতলা প্রত্নস্থান সম্পর্কে বাংলাদেশের প্রত্নসম্পদ গ্রন্থে উল্লেখ করেছিলেন, ক্ষীরতলা বুরুজ থেকে গুপ্ত যুগের (আনুমানিক ৩০০ খ্রি.) মুদ্রা পাওয়া গিয়েছিল।