পরীক্ষার প্রশ্ন কমন না পড়লে কিংবা কঠিন বিষয়ের পরীক্ষা হলে ভয় পাওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। বোর্ড পরীক্ষায় কত ছাত্রই তো ভয়ে কাবু হয় পরীক্ষার হলে গিয়ে। তাই বলে এ কারণে অজ্ঞান হওয়ার ঘটনা খুব একটা শোনা যায় না।
কিন্তু ভারতের এক যুবক পরীক্ষা দিতে গিয়ে জ্ঞান হারান। না, তিনি প্রশ্ন কঠিন হওয়ায় অজ্ঞান হননি। পরীক্ষার হলে সবাই ছিল ছাত্রী, এতগুলো ছাত্রীর মধ্যে তিনি একাই পুরুষ ছিলেন। ফলে পরীক্ষার হলে এক পর্যায়ে জ্ঞান হারান তিনি। ১৭ বছরের সেই পরীক্ষার্থীর নাম মণীষ শঙ্কর।
চলতি মাসের ১ তারিখ বিহারের নালন্দার ব্রিলিয়ান্ট কনভেন্ট প্রাইভেট স্কুলে দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা দিতে যান শঙ্কর। সেদিন ছিল গণিত পরীক্ষা। তবে গণিতের ভয়ে তিনি কাবু হননি। অজ্ঞান হওয়ার কারণ হলো শঙ্কর যেখানে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন সেখানে তিনি ছাড়া বাকি ৫০০ জন ছিলেন মেয়ে। নিজেকে ৫০০ মেয়ের ভেতরে একা দেখে জ্ঞান হারান তিনি। এরপর বিহারের আলমা ইকবাল কলেজের এই ছাত্রকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় বিহারশরীফ সদর হাসপাতালে।
শঙ্করের পরিবারের পক্ষ থেকেও একই দাবি করা হয়। বিহারশরীফ সদর হাসপাতালে শঙ্করের এক আত্মীয় বলেন, ছাত্রীদের মধ্যে নিজেকে একা দেখে জ্ঞান হারায় সে। ভয়ে তার জ্বর চলে আসে এবং মাথাব্যথা শুরু হয়। তবে এখন পরিস্থিতি ভালো।
এই বোকামি অবশ্য করেছে শঙ্কর নিজেই। নালন্দার ব্রিলিয়ান্ট কনভেন্ট প্রাইভেট স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, ছেলেটি সম্ভবত পরীক্ষার নিবন্ধনের সময় ভুল করে নিজের লিঙ্গ নারী হিসেবে উল্লেখ করেছে। এ কারণেই তার পরীক্ষার সিট নারী শিক্ষার্থী দিয়ে পূর্ণ একটি হলে পড়েছে।
পরীক্ষা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ শশী ভূষণ প্রসাদ বলেন, ছেলেটি যখন দেখল তার প্রবেশপত্রে ‘নারী’ উল্লেখ করা হয়েছে, তখন তার উচিত ছিল অবিলম্বে তা সংশোধন করা। প্রবেশপত্রে কোনো তথ্য ভুল থাকলে তা সংশোধনের জন্য ২০ দিন সময় পাওয়া যায়, যা পর্যাপ্ত। ছেলেটি অথবা তার অভিভাবকের পক্ষ থেকে কিংবা যে স্কুলে তার ফর্ম পূরণ করা হয়েছিল, তাদের অসাবধানতার কারণে এমনটা ঘটেছে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া