৪১ দিন, ৪৬ ম্যাচ পর পর্দা নামলো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের নবম আসরের। সাত দল নিয়ে গত ৬ জানুয়ারি মাঠে গড়ায় বিপিএল। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও সিলেট স্ট্রাইকার্সের ফাইনাল ম্যাচ দিয়ে পর্দা নামলো জমকালো এ আসরের। দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় শেষ হাসিটা হেসেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়ে চতুর্থবারের মতো বিপিএল শিরোপা ঘরে তুললো কুমিল্লা। ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের পর প্রথম দল হিসেবে টানা দুই বিপিএলে শিরোপা জিতলো কুমিল্লা।
শক্তিতে ও নামে টুর্নামেন্টে হট ফেভারিট ছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। বিগ বাজেটের এ দল শুরু থেকেই নামীদামি ক্রিকেটারদের দলে নিয়ে মাঠে নামে। তবে শুরুতে ছন্দ পেতে কষ্ট হচ্ছিল তাদের। প্রথম তিন ম্যাচে জিতেনি একটিতেও। এরপর টানা ১১ ম্যাচ জিতে কুমিল্লার ঘরে উঠলো বিপিএল শিরোপা।
সিলেট স্ট্রাইকার্স ছিল স্থানীয় ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স নির্ভর দল। বিদেশী ক্রিকেটার বলতে তাদের দলে ছিল থিসারা পেরেরা, মোহাম্মদ আমির ও ইমাদ ওয়াসিম। পেরেরা শেষ পর্যন্ত দলের সঙ্গে থাকলেও আমির ও ওয়াসিমের অভাব ঠিকই অনুভব করেছে সিলেট। টুর্নামেন্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একই ছন্দে খেলেছে দলটি। উত্থান-পতন থাকলেও গোটা দল এক হয়ে খেলে পারফর্ম করেছে। কিন্তু শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে শেষ হাসিটা হাসতে পারেননি তারা।
কুমিল্লার টানা দ্বিতীয় শিরোপা জয়ের রাতে সিলেট হারালো প্রথম ট্রফি জয়ের সুযোগ। এর আগে তারা কখনোই ফাইনাল খেলতে পারেনি। মাশরাফির হাত ধরে ফাইনালে উঠলেও সিলেট বিপিএলের যাত্রা শেষ করলো একরাশ হতাশা নিয়ে। মাশরাফির ফাইনালের ব্রেক ডাউনও হলো। এর আগে মাশরাফি চারবার বিপিএল ফাইনালে উঠে চারবারই শিরোপা জিতেছিল। এবার আর পারলেন না মাশরাফি।
বিপিএলের রোল অব অনার:
আসর চ্যাম্পিয়ন রানার্স-আপ প্রথম ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স বরিশাল বার্নার্স দ্বিতীয় ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স চিটাগং কিংস তৃতীয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স বরিশাল বুলস চতুর্থ ঢাকা ডায়নামাইটস রাজশাহী কিংস পঞ্চম রংপুর রাইডার্স ঢাকা ডায়নামাইটস ষষ্ঠ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ঢাকা ডায়নামাইটস সপ্তম রাজশাহী রয়্যালস খুলনা টাইগার্স অষ্টম কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ফরচুন বরিশাল নবম কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স সিলেট স্ট্রাইকার্স