বিনোদন

আমি মধুবালার মতো দেখতে ছিলাম: কঙ্গনা

বলিউডের আলোচিত অভিনেত্রী কঙ্গনা রাণৌত। কোনো না কোনো বিষয় নিয়ে বছর জুড়ে আলোচনায় থাকেন তিনি। কঙ্গনা হয় কারো সঙ্গে ঝগড়া করেন, নয়তো বা কোনো বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেন। সিনেমা দুনিয়ার চিরন্তন সুন্দরী মধুবালার সঙ্গে এবার নিজেকে তুলনা করে সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন বিতর্কিত এই নায়িকা।

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ছিল মধুবালার মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে জনপ্রিয় অভিনেত্রী মধুবালার একটি সাদা-কালো ছবির সঙ্গে কঙ্গনা তার একটি ছবি কোলাজ করে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন। আর ক্যাপশনে লিখেন— ‘দর্শকরা চান আমি পর্দায় দেবী মধুবালার চরিত্রে অভিনয় করি। আমি যখন কাজ শুরু করি, তখন মধুবালার ছোটবেলার মতো ছিলাম। যদিও আমি এখন এ বিষয়ে নিশ্চিত নই।’

কঙ্গনার এমন মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর নেটিজেনদের মাঝে হাসির রোল পড়েছে। কেউ হাসছেন, কেউ আবার কান্নার ইমোজি দিয়ে লিখেছেন, ‘হে ভগবান! এবার হয়তো মধুবালার বায়োপিকে অভিনয় করবেন কঙ্গনা!’ কেউ বলছেন, ‘কঙ্গনার মুখে এমন কথা শুনে মধুবালা স্বর্গে আয়নায় নিজের মুখটা হয়তো আরেকবার দেখে নিলেন!’ কেউ কেউ রেগে গিয়ে লিখেছেন, ‘কঙ্গনার কত বড় স্পর্ধা।’

ভারতীয় সিনেমার বরণ্যে অভিনেত্রী মধুবালা। তার আসল নাম মমতাজ জেহান বেগম দেহলভি। খুব অল্প বয়সে অভিনয় জীবনে পা রাখেন তিনি। ১৯৪২ সালে বসন্ত চলচ্চিত্রে শিশুশিল্পী হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯৪৭ সালে নীলকমল সিনেমায় নায়িকা চরিত্রে পর্দায় হাজির হন। এ সিনেমায় বেগম পারা এবং রাজ কাপুরও ছিলেন। তার পরের গল্প কারো অজানা নয়।

মধুবালা অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো— আমার (১৯৫৪), মহল (১৯৪৯), বাদল (১৯৫১), তারানা (১৯৫১), মিস্টার অ্যান্ড মিসেস ’৫৫ (১৯৫৫), চলতি কা নাম গাড়ি (১৯৫৮) ), হাফ টিকিট (১৯৬২), হাওড়া ব্রিজ, কালা পানি (১৯৫৮), বারসাত কি রাত (১৯৬০) প্রভৃতি।