ফাগুনের মলাট

বইমেলায় জিয়াউল হক সরকারের দুটি বই

অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয়েছে জিয়াউল হক সরকারের দুটি বই। অনুপ্রাণন প্রকাশন (স্টল নম্বর: ৫৯২-৫৯৩) প্রকাশ করেছে কাব্যগ্রন্থ ‘বৃষ্টিরা একা আসে না’। পরিবার পাবলিকেশন্স (স্টল নম্বর ৪২০-৪২১) মেলায় এনেছে গল্পগ্রন্থ ‘হিমশীতল মুখ’। বই দুটির প্রচ্ছদ করেছেন চিত্রশিল্পী আইয়ুব আল-আমিন।

কবি ও লেখক জিয়াউল হক সরকারের ‘বৃষ্টিরা একা আসে না’ দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘পলকে পতন ঘটে’ প্রকাশিত হয়েছে ২০২০ সালে, পরিবার পাবলিকেশন্স থেকে। তার কবিতা জীবনবোধ, মনন, প্রেম, প্রকৃতি আর দ্রোহের কথা বলে। এসব যেন জীবন-যাপনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রাত্যহিক অন্তর্লোকের আহ্বান। চেনাপথের অমোঘ আঁধারের ক্লান্তি। বসন্তের প্রতিঘাত আর নীলাভ সমুদ্রের আভা। এবারের ‘বৃষ্টিরা একা আসে না’ কবিতার বইটিতে প্রেম-বিরহ, প্রকৃতি আর জীবনের আলোকছটায় প্রগাঢ় কল্পশক্তি মিশে হয়ে উঠেছে মানবজনমের চেনা-অচেনা পথের ধূলিমাখা জীবনমঠ। গ্রাম-শহর আর ফেরারি সময়ের ক্ষুরে এক মায়াময় আখ্যান।

‘হিমশীতল মুখ’ জিয়াউল হক সরকারের প্রথম গল্পগ্রন্থ। তার এসব গল্প যেন জীবনের প্রতিটি বাঁকে বাঁকে একেকটি করে গল্প জুড়ে বয়ে চলে আমাদের রোজকার চালচিত্র। চারদিকে অজস্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা জীবন-গল্পের মুক্তোদানা। আপনার-আমার জীবনের রঙছটায় জমা হওয়া বেহিসেবি সব গল্প। আমাদের সকলের সম্মিলিত মুখ দেখা আয়নার মতো এইসব গল্প যেন জীবনের কথা বলে।

জিয়াউল হক সরকাররে জন্ম ১৯৮৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর; কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার ঈশ্বর বরুয়া গ্রামে। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। এখন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে  এমফিলে অধ্যয়নরত। ছাত্রাবস্থা থেকেই লেখালেখি করছেন বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, ম্যাগাজিন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বর্তমানে তিনি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুরে সহকারী পরিচালক (গণসংযোগ ও প্রকাশনা) পদে কর্মরত।