ফাগুনের মলাট

নতুন ৩০টি বই প্রকাশ করলো স্পর্শ ব্রেইল ফাউন্ডেশন

‘মানুষ দৃষ্টিহীন বলেই অন্ধ নয়, মানুষ মূলত প্রজ্ঞাহীন বলেই অন্ধ’-এই স্লোগানে ১৫ বছর আগে স্পর্শ ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু হয়। আর প্রায় এক যুগ ধরে একুশে বইমেলার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এই ফাউন্ডেশনের স্টল রয়েছে। যেখানে পাওয়া যাচ্ছে দৃষ্টিজয়ীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের গল্প ও উপন্যাসের বই।

স্পর্শ ব্রেইল ফাউন্ডেশন থেকে নতুন ৩০টি বই প্রকাশ হয়েছে। এবার প্রকাশিত বইয়ের তালিকায় রয়েছে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘চাঁদের পাহাড়’, বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের ‘সুলতানার স্বপ্ন’, লুৎফর রহমান রিটনের ‘ভূতের ডিমের অমলেট’, মুহম্মদ জাফর ইকবালের ‘যারা বায়োবট’, আনজীর লিটনের ‘বাবা বাড়ি ফেরেনি’, নাসরিন সুলতানার দুটি বই।

নতুন এই বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে গত শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩)। বাংলা একাডেমির বর্ধমান হাউসের তথ্যকেন্দ্রের সামনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, লেখক ও অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব কে এম মুজাহিদুল ইসলাম, লেখক ফরিদ আহমেদ দুলাল, সিসিমপুরের মহাব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ আলম, স্পর্শ ফাউন্ডেশনের প্রধান উদ্যোক্তা নাজিয়া জাবীন, শিশু সাহিত্যিক ও শিক্ষক নাসরিন সুলতানা।

এছাড়া এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন দেশের নানা প্রান্ত থেকে বিভিন্ন বয়স ও পেশার দৃষ্টিহীন মানুষ। আনুষ্ঠানিকভাবে বিকালে তাদের হাতে বই তুলে দিয়েছে স্পর্শ ফাউন্ডেশন।

স্পর্শ ফাউন্ডেশনের প্রধান উদ্যোক্তা নাজিয়া জেবিন বলেন, সরকারিভাবে পাঠ্যপুস্তক ব্রেইল পদ্বতিতে করা হয়েছে, কিন্তু আমরা চাই—এর বাইরেও যে বিশাল গল্প-উপন্যাসের জগৎ আছে, সেখানেও দৃষ্টিজয়ীরা বিচরণ করুক। এবারের ৩০টিসহ আমাদের বইয়ের সংখ্যা ১৩১টি। আশা করি, সামনে এই সংখ্যা অনেক গুণে বাড়বে।