খেলাধুলা

ক্যারিয়ার শেষে নামের পাশে ৫০০ উইকেট দেখতে চাই: হাসান 

ক্যারিয়ার শেষে নিজের নামের পাশে কত উইকেট দেখতে চান? মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নে তরুণ পেসার হাসান মাহমুদের সংক্ষিপ্ত উত্তর, ‘অবশ্যই ৫০০ (উইকেট)’।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে জয় দিয়ে শুরু করেছে বাংলাদেশ। ঝড়ো ব্যাটিংয়ের আভাস দিয়ে ইংলিশরা শুরু করলেও শেষ দিকে তাদের লাগাম টেনে ধরেন বাংলাদেশি পেসাররা। তার মধ্যে অন্যতম হাসান। এই তরুণ শেষ দিকে ২ ওভারে ৫ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।

এখানেই ইংল্যান্ড অনেকটা পিছিয়ে যায়। শেষ চার ওভারে তারা স্কোরবোর্ডে যোগ করে মাত্র ২১ রান। তাদের ইনিংস থামে ১৫৬ রানে। বাংলাদেশ তাড়া করতে নেমে ১২ বল হাতে রেখে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।

হাসান এই ম্যাচে বোলিংয়ে আসেন ১১ ওভারের সময়। প্রথম ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে শুরুটা ভালো করেছিলেন। এক ওভার পরে এসে ১৭ রান দিয়ে বসেন এই পেসার। ১৩তম ওভারে তার শেষ দুই বলে দুই ছক্কা হাঁকান ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার।

বাটলারের কাছে জোড়া ছয় হজম করে দমে যাননি হাসান। উলটো ১৭তম ওভারে এসে প্রথম বলেই বাটলারকে (৪২ বলে ৬৭) ফিরিয়ে প্রতিশোধ নেন। এই ওভারে মাত্র ১ রান দেন হাসান। এরপর ১৯তম ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে নেন স্যাম কারানের উইকেট। ডেথ ওভারে হাসানের এমন বোলিংয়ে কার্যত ইংল্যান্ড ম্যাচ থেকে ছিটকে যায়।

বাটলারের কাছে দুই হজম করে কিভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন হাসান?  ‘ওই সময় ও (বাটলার) যে আমাকে ছক্কা মারছে দুইটা পরপর, আমি ছয়ের দিকে তাকাইনি, আমি দেখি নাই ও কী করতেছিল। আমি ভাবতেছিলাম আমি কী করবো। শেষ দুই ওভারে আমার চ্যালেঞ্জ ছিল এনিহাউ ডিফেন্ড করতে হবে। আমি সেটা করার চেষ্টা করেছি’-এভাবে বলছিলেন হাসান।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হাসানের ক্যারিয়ার সবে শুরু বলা যায়। ২০২০ সালে টি-টোয়েন্টির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলা শুরু। পরের বছর একদিনের ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। শুরুতেই হানা দেয় ইনজুরিও। কেড়ে নেয় প্রায় দেড় বছর সময়। আবার ফিরে হাসান আছেন দারুণ ফর্মে। বিপিএলও কেটেছে বেশ। এই পেসার কাউকে অনুসরণ করেন না, তবে অনেকের বোলিং দেখেন নিয়মিত। 

গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে বোলিং করে তার ভয় কেটে যায়। অ্যাডিলেডে সেই ম্যাচে কোহলিদের বিপক্ষে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন হাসান। বড় ম্যাচে বোলিং করতে এখন আর কোনো ভয় কাজ করে না। তাইতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দিতে পেরেছেন নিজের সেরাটা। 

এখন পর্যন্ত ৬ ওয়ানডেতে ৮ উইকেট ও ১১ টি-টোয়েন্টিয়তে ১৫ উইকেট নেওয়া হাসানের ভাষ্য, ‘ভারতের সঙ্গে বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ ছিল। ওই ম্যাচের পর আমার ভয়টা কেটে গিয়েছে। এখানে আরেকটু সহজ হয়েছে।’

‘আমার চিন্তা থাকে বল বাই বল। একটা বল খারাপ হলেও পরের বলের ফোকাসটা রাখি, আমার শক্তির জায়গায় থাকি। ওই সময়টায় নিজের ক্যারেক্টারটা দেখাতে পছন্দ করে। চ্যালেঞ্জটা নিতে ভালো লাগে’-আরও যোগ করেন হাসান। 

চট্টগ্রাম পর্ব শেষে এবার ঢাকার পালা। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগামীকাল ১২ মার্চ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল। হাসানের বিশ্বাস বাংলাদেশ ইংলিশদের বিপক্ষে সিরিজ জিতবে।