খেলাধুলা

দারুণ শুরুর পরও মাহমুদউল্লাহ-সৌম্যদের ব্যর্থতায় মোহামেডানের ২৩৫

ইমরুল কায়েস-মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ব্যাটে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের শুরুটা হয় দুর্দান্ত। ম্যাচের অর্ধেক ওভার শেষ হয়ে গেলেও আবাহানী লিমিটেড পাচ্ছিল না উইকেটের দেখা। ইমরুল-অঙ্কন স্বাচ্ছন্দ্যে খেলছিলেন সাবলীল খেলা। কিন্তু সাইফউদ্দিনের তোপে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ-সৌম্য সরকারদের ব্যর্থতায় মোহামেডান খেই হারিয়ে ফেলে।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বুধবার (২৩ মার্চ) মাঠে নামে দুই প্রতিদ্বন্দী ক্লাব আবাহনী-মোহামেডান। টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে সাদাকালো ক্লাবটি ৮ উইকেটে ২৩৫ রান করে।

অথচ শুরুটা ছিল শেষের উল্টো। ইমরুল-অঙ্কন জুটি থেকে আসে ১৩৭ রান। অর্থাৎ এ দুজন মিলে স্কোরবোর্ডে যা রান যোগ করেন দলের বাকিরা তার চেয়ে দুই কম যোগ করে। ২৮.৩ ওভারে ইমরুল-অঙ্কন জুটি ভাঙার পর মোহামেডান বাকি ২১.৩ ওভারে যোগ করে ৯৮ রান। উইকেট হারায় ৭টি!

৮৫ বলে সর্বোচ্চ ৭০ রান আসে অঙ্কনের ব্যাট থেকে। ৬৬ বলে পান ফিফটির দেখা। আর ৮৩ বলে ফিফটি করা ইমরুল থামেন ৬৮ রানে। ফিফটির পর মোহামেডান অধিনায়ক হাত খুলে খেলার আভাস দিয়েছিলেন। তানভীর ইসলামের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়ে ক্যাচ দেন পয়েন্টে।

মোহামেডানের ছন্দপতন ঘটে এই জুটি ভাঙায়। ১৩ রানের ব্যবধানে দলটি হারিয়ে ফেলে ৪ উইকেট। মাঠে এসেই ফেরেন সৌম্য সরকার (১) ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৩)। দুজনে খেলেন ৬ বল করে। খেলার হাল ধরেন ভারতীয় অনুষ্টুপ মজুমদার-আরিফুল হক।

অনুষ্টুপ ৩৩ বলে ৩০ রানে তানজীম হাসান সাকিবের শিকার সাজঘরে ফিরলে আবার ধাক্কা খায় মোহামেডান। শুভাগত হোম ক্রিজে এসেই ফেরেন রানের খাতা খোলার আগে। শেষ পর্যন্ত আরিফুল অপরাজিত থাকেন শেষ পর্যন্ত। তার ব্যাট থেকে আসে ৪৮ বলে ৩৭ রান।

আবাহনীর হয়ে সাইফউদ্দিন ১০ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। ২ উইকেট করে নেন সাকিব-তানভীর।