হত্যা মামলার এক বছর পর মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে মা-মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। এ ঘটনায় স্বামী শাহীন পাহাড় (৩২) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মুন্সীগঞ্জ।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বিকেলে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক এসব তথ্য জানান। এর আগে সকাল ৬ টার দিকে ঢাকার কদমতলীর মজিবুর রহমানের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শাহীন পাহাড় শ্রীনগরের ভাগ্যকূল ইউনিয়নের উত্তর বালাসুর গ্রামের মৃত তৈয়ব পাহাড়ের ছেলে। সে পেশায় একজন ট্রলিচালক।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ মার্চ লেপ ও বিছানার চাদর মোড়ানো মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করে শ্রীনগর থানা পুলিশ। পরে ১০ মার্চ শ্রীনগর থানার এস.আই আপন কুমার মজুমদার বাদি হয়ে হত্যা মামলা করেন। ২৫ এপ্রিল পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এর আদেশে মুন্সীগঞ্জের পিবিআই কাছে মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান, প্রথম স্ত্রী ও তিন সন্তান থাকার পর আসামি শাহীন পাহাড় রিম্পা নামের এক মেয়েকে বিয়ে করে। সে সংসারে ছিলো আমেনা নামের ৯ মাসের একটি কন্যা শিশু। প্রথম স্ত্রী নার্গিস দ্বিতীয় বিয়ের কথা জানতে পারলে আসামি শাহীনের মধ্যে মনোমালিন্য ও ঝগড়া বিবাদের সৃষ্টি হয়। শাহীন তার দ্বিতীয় স্ত্রী রিম্পাকে গ্রামের বাড়ি পাবনাতে চলে যেতে বলে। কিন্তু সে রাজি না হওয়ায় তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে শাহীন রাগের বশর্বর্তী হয়ে প্রথমে রিম্পাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে তার ৯ মাসের মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। মরদেহ দুটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য লেপ দিয়ে মুড়িয়ে ও প্রিন্টের বিছানার চাদর দিয়ে বেঁধে স্থানীয় মিশুকচালক হাসেমের মিশুক দিয়ে রাত ১২ টার দিকে ব্রাহ্মনপাইকশা এলাকায় একটি ডোবাতে ফেলে চলে যায়।
তিনি আরো বলেন, আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরো কেউ জড়িত আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।