তৃতীয় ওয়ানডেতে শুক্রবার শ্রীলঙ্কাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে নিউ জিল্যান্ড। এতে সর্বনাশ হয়েছে শ্রীলঙ্কার। সরাসরি ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার জায়গা হারিয়েছে তারা।
এখন জুনে জিম্বাবুয়েতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে খেলে জায়গা করে নিতে হবে বিশ্বকাপের মূলপর্বে। বাছাইপর্বের বাধা পেরুতে না পারলে ২০২৩ বিশ্বকাপে দর্শক হয়ে যাবে ১৯৯৬-এর চ্যাম্পিয়নরা।
২৪ ম্যাচ থেকে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৮১ পয়েন্ট। তারা আছে সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলের নবম স্থানে। অন্যদিকে ২৪ ম্যাচ থেকে ৮৮ পয়েন্ট সংগ্রহ করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ সরাসরি খেলবে ২০২৩ বিশ্বকাপে। এছাড়া ১৯ ম্যাচ থেকে ৭৮ পয়েন্ট সংগ্রহ করে দশম স্থানে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার সামনেও সুযোগ রয়েছে সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার।
এদিকে ২৪ ম্যাচ থেকে ১৭৫ পয়েন্ট সংগ্রহ করে সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে ভারতে বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাবে নিউ জিল্যান্ড।
হ্যামিল্টনে শুক্রবার শ্রীলঙ্কা টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪১.৩ ওভারে ১৫৭ রানে অলআউট হয়ে যায়। জবাবে ৫৯ রানেই ৪ উইকেট হারানোর পর উইল ইয়াং ও হেনরি নিকোলসের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ৩২.৫ ওভারে জয় তুলে নিউ জিল্যান্ড।
পঞ্চম উইকেটে ইয়াং ও নিকোলস অবিচ্ছিন্ন থেকে ১০৮ বলে ১০০ রান তুলে জয় নিশ্চিত করেন। ইয়াং ১১৩ বলে ১১ চারে অপরাজিত ৮৬ রান করেন। আর নিকোলস ৫২ বলে ৫ চারে করেন অপরাজিত ৪৪ রান।
বল হাতে শ্রীলঙ্কার লাহিরু কুমারা ২টি উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নেন কাসুন রাজিথা ও দাসুন শানাকা।
তার আগে শ্রীলঙ্কার ইনিংসে ধস নামান নিউ জিল্যান্ডের ম্যাট হেনরি, হেনরি শিপলে ও ড্যারিল মিচেল। তারা তিনজনে ৩টি করে ৯টি উইকেট ভাগাভাগি করে নেন।
তাদের বোলিং তোপে শূন্যরানে আউট হন শ্রীলঙ্কার তিন ব্যাটসম্যান— কুশাল মেন্ডিস, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। এছাড়া লাহিরু কুমারা ৬ বল খেলে কোনো রান করতে পারেন না।
বাকিদের মধ্যে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান পাথুম নিসাঙ্কা ৮ চার ও ১ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন। অধিনায়ক দাসুন শানাকা ২ চার ও সমান সংখ্যক ছক্কায় করেন ৩১ রান। ৩ চারে ২৪ রান আসে চামিকা করুণারত্নের ব্যাট থেকে।
ব্যাট হাতে অপরাজিত ৮৬ রান করে ম্যাচসেরা হন উইল ইয়াং।