সারা বাংলা

পঞ্চগড়ে ২৫০০ কোটি টাকায় নির্মিত হচ্ছে মেডিকেল কলেজ

পঞ্চগড়ে ২৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে এক হাজার শয্যা বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক মানের টারশিয়ারি কেয়ার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। বাংলাদেশ ও প্রতিবেশী দেশগুলোর জনসাধারণের উন্নত মানের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে এই হাসপাতাল করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

শনিবার (৮ এপ্রিল) ‘নর্থ পয়েণ্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল’ নামের এই চিকিৎসা কেন্দ্রের ভিত্তপ্রস্তর উদ্বোধন করেন বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশী।

মেডিকেল কলেজ সংশ্লিষ্টরা জানান, সদর উপজেলার দাড়িয়াপাড়া এলাকায় পঞ্চগড়-তেঁতুলিয়া মহাসড়কের পাশে ৩২ একর জায়গা জুড়ে করা হচ্ছে এই হাসপাতাল। এর মধ্যে ৭ একরে থাকবে অবকাঠামো, ১৫ একরে সবুজ এলাকা এবং ১০ একর জুড়ে থাকবে পানি এলাকা। এই হাসপাতালে মোট ১৫টি অপারেশন থিয়েটার থাকবে। কিডনি প্রতিস্থাপনসহ অনেক জটিল অপারেশন করা যাবে এখানে। আগামী দুই থেকে আড়াই বছরের মধ্যে হাসপাতালের কাজ শেষ হবে। 

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এই হাসপাতালটি উত্তরবঙ্গের মানুষের অনেক বড় উপকারে আসবে। আমাদের এখানকার মানুষেরা চিকিৎসার জন্য ভারতে যায়। এই হাসপাতাল হলে ভারত থেকে রোগী আসবে এখানে। বিদেশি ছাত্ররা পড়তেও আসবে। দেশের মানুষকে আর বাইরে যেতে হবে না। দেশের টাকা দেশেই থাকবে। চীন আমাদের অনেক উন্নয়ন কাজের অংশীদার। তাদের এক ব্যবসায়ী এই বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অর্থায়ন করছে। এখানকার (পঞ্চগড়ের) অর্থনীতির উন্নয়ন হবে। অনেকের কর্মসংস্থান হবে। এখানকার মানুষের জীবনমান উন্নত হবে।

নর্থ পয়েন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান মি. ঝুয়াং লিফেং এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক এইচ এম জাহাঙ্গীর আলম রানা। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান, চীনে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামান, অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক মইনুল ইসলাম, পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা, ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন আফরোজা বেগম রীনা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হান্নান শেখ, জেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুল হক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুর ইসলাম। সার্বিক দিক তুলে ধরেন প্রকল্প পরিচালক তৌফিক হাসান।

বক্তারা বলেন, পঞ্চগড়ে উন্নতমানের চিকিৎসা কেন্দ্র না থাকায় অনেকেই চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেছেন। গুরুতর রোগীদের অনেক সময় জেলার হাসপাতাল থেকে রংপুর মেডিকেলে স্থানান্তর করতে হয়। কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর আগেই মৃত্যুর খবর শুনতে হয় আমাদের। পঞ্চগড়বাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিলো একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। দীর্ঘদিন পরে এসে সরকারি মেডিকেল কলেজ না পেলেও আমরা আন্তর্জাতিক মানের স্বাস্থ্য কেন্দ্র পেতে যাচ্ছি। আশাকরি পঞ্চগড়বাসী সাধ্যের মধ্যেই এখানে দ্রুত চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন।