সারা বাংলা

মুন্সীগঞ্জের মেঘনা নদীর পাড়ে বিনোদনপ্রেমীদের ভিড়

ছুটিতে বিভিন্ন স্থানে পরিবার নিয়ে বেড়াতে যাওয়া মানুষের অন্যতম একটি নেশা। আর তাই এবার ঈদের ছুটিতে মানুষের অন্যতম বেড়াতে আসার কেন্দ্র ভূমিতে পরিণত হয়েছে মুন্সীগঞ্জের চরকিশোরগঞ্জের গজারিয়া দিয়ে বয়ে যাওয়া মেঘনা নদীর পাড়। 

ইতিহাস ঐতিহ্য সমৃদ্ধ জেলারগুলোর মধ্যে মুন্সীগঞ্জ খুবই বিখ্যাত। কিন্তু সে তুলনায় এ জেলায় নেই কোনো পর্যটক বা বিনোদন স্থান। তাই ছুটির দিন কিংবা ঈদ উৎসবে নারী-পুরুষসহ ছোট শিশুরা সবাই ছুটে আসেন গজারিয়ার মেঘনা নদীর ঘাট এলাকায়। ভ্রমণ পিপাসু জেলাবাসী এই স্থানটির নাম দিয়েছেন মিনি কক্সবাজার।

ঈদের দ্বিতীয় দিন সোমবার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার দূর-দূরান্ত থেকে ভ্রমণ পিপাসুরা ছুটে আসেন এখানে।

ঈদ ছাড়াও এখানে ছেলে-মেয়ে, ভাই-বোন, স্বামী-স্ত্রী সবাই অবসর সময় কাটাতে আসেন। বিভিন্ন উৎসব কিংবা সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বিকেল হলেই মেঘনার পাড়ে জড়ো হন হাজারো মানুষ। প্রচুর মানুষ আসায় নদীর পাড়ে অনেক ছোট-বড় রেস্তোরাঁ গড়ে উঠেছে। এখানে শিশুদের জন্য রয়েছে হৈ-চৈ নামের একটি শিশু পার্ক রয়েছে। এখানে বেড়াতে আসা অনেককেই রেস্টুরেন্টের বসেই নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করেন। নদী তীরের ঠান্ডা বাতাসে তারা নিজেদের শীতল করেন। আবার অনেকেই ট্রলার ভাড়া করে ঘুরে বেড়ান বিশাল মেঘনার বুকে। 

মুন্সীগঞ্জ শহরের বাগমামুদালী পাড়ার খালেদা আক্তার নীলা জানান, জেলায় বাচ্চাদের বিনোদনের জন্য নিয়ে যাওয়ার কোনো স্থান নেই। তাই মেঘনা পাড়ের এই এলাকাটিতে ঘুরতে এসেছি। নদী পাড়ের বাতাস আমাদের সব ক্লান্তি ভুলিয়ে দিয়েছে। খুবই ভালো লাগছে।

শহরের খালইষ্ট এলাকার তুষার জানান, বন্ধুদের নিয়ে এখানে ঘুরে ও পরে মেঘনা নদীতে সাতার কেটে গোসল করলাম। অনেক ভালো লেগেছে।

টঙ্গীবাড়ি উপজেলা থেকে আসা কুলসুম আক্তার জানান, লোকমুখে শুনে এখানে এসেছি। মেঘনার পাড়ে বেড়াতে এবং এখানকার পরিবেশ আমাদের মুগ্ধ করেছে। সেই সকালে এসেছি এখন বিকেল তারপরেও বাড়ি যেতে মন চাইছে না।