সারা বাংলা

ঝড়ে নৌকা ডুবি: নতুন বউ নিয়ে বাড়ি ফেরা হলো না রাব্বির 

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীতে ঝড়ের কবলে পড়ে বর যাত্রীবাহী একটি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় লিপি বেগম (২৮) নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে জেলেরা। এছাড়া এখনো নিখোঁজ রয়েছেন বর মো. রাব্বিসহ চার জন। 

শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীর চর আপতি এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। 

নিখোঁজরা হলেন- বর রাব্বী (২৫), তার মা সেলিনা বেগম (৪৫), ফুফু লিপি বেগম (২৮), ফুফাতো বোন খাদিজা(৭) ও ফুফাতো বোন মারিয়া (৮)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর গ্রামের মনির হওলাদরের ছেলে রাব্বির সঙ্গে উত্তর শাহজালাল গ্রামের হুমায়ুর কবিরের মেয়ে সুমাইয়ার বিয়ে হয়। দুপুরে রাব্বি তার স্বজনদের নিয়ে ট্রলারযোগে উত্তর শাহজালাল গ্রামের শ্বশুর বাড়িতে যান। বিকেলে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বর যাত্রীদের নিয়ে ট্রলার আউলিয়াপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তেঁতুলিয়া নদীর চর আপতি এলাকায় পৌঁছলে ঝড়ের কবলে পড়ে ২০ জন বর যাত্রীসহ ট্রলারটি ডুবে যায়। এসময় ১৫ জন সাঁতরে তীরে ওঠেন। পরে স্থানীয় জেলেরা লিপি বেগমের লাশ উদ্ধার করে। 

এদিকে, ঘটনার পর পরই নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে দশমিনা ফায়ার সার্ভিস ও পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। 

রাব্বির বাবা মনির হাওলাদার বলেন, আমার ছেলে নতুন বৌ নিয়ে বাড়ি ফিরছিলো। চর আপতি নামক স্থানে ট্রলার উল্টে যায়। ট্রলারে প্রায় ২০ জন ছিলাম। আমরা সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আমার স্ত্রী সেলিনা, আমার ছেলে রাব্বি, ভাগ্নি খাদিজা ও মারিয়া। আমার বোন লিপি বেগমের লাশ জেলেরা উদ্ধার করেছে।

দশমিনা ফয়ার সার্ভিসের লিডার আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনা শোনামাত্র আমাদের দুইটি টিম উদ্ধার অভিযান শুরু করে। বর্তমানে পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলও উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। আমাদের উদ্ধার অভিযান চলছে। 

দশমিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাফিসা নাজ নীরা বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি দশমিনা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি ও থানা পুলিশ উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।