জাতীয়

আজ রাত ১১টা থেকে ৭ ঘণ্টা বিমানবন্দর সড়কে যান চলাচল সীমিত

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সামনে ফ্লাইওভার নির্মাণকাজ চলছে। এজন্য আজ শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাত ১১টা থেকে ৭ ঘণ্টা সড়কে যান চলাচল সীমিত থাকবে।

বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) গত ৩ মে এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

এতে বলা হয়, ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজের জন্য ৫ মে শুক্রবার রাত ১১টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সামনের সড়কে যানবাহন চলাচল সীমিত থাকবে। এ সময় ভারী ও মালবাহী যান বিকল্প রাস্তায় চলাচলের অনুরোধ করা হয়েছে।

এর আগে একই কারণে গত সপ্তাহের শুক্রবার রাত ১১টা থেকে শনিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত যানবাহন চলাচল সীমিত ছিল। এদিকে, প্রকল্প সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, ওই সড়কে আগামী ৩ মাস প্রতি শুক্রবার যান চলাচল সীমিত রাখা হবে।

তৃতীয় টার্মিনাল প্রকল্পের একজন কর্মকর্তা জানান, ফ্লাইওভার নির্মাণকাজের জন্য বিমানের প্রধান কার্যালয় বলাকা ভবন ও ঢাকা বিমানবন্দরের সামনের সড়কে যান চলাচল সীমিত হয়ে যাবে। এ কাজের জন্য সড়কের ৮ লেনের পরিবর্তে ৪ লেন ব্যবহার করা যাবে।

জানা গেছে, তৃতীয় টার্মিনালের প্রায় ৭০ শতাংশ নির্মাণকাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।  অক্টোবরে এটি প্রাথমিক পর্যায়ে চালু করা হবে। তবে, তৃতীয় টার্মিনাল পুরোপুরি চালু হতে আরও ১ বছর সময় লাগবে।

২১ হাজার ৩৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে টার্মিনালটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৯ সালে। জাপানের মিতসুবিশি ও ফুজিতা এবং কোরিয়ার স্যামসাং এ নির্মাণকাজের দায়িত্বে আছে। নির্মাণ ব্যয়ের ৭০ শতাংশ ঋণ হিসেবে আসছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) থেকে।

খ্যাতনামা স্থপতি রোহানি বাহারিন এর ডিজাইন করেছেন। তিন তলা টার্মিনালে ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার ফ্লোর স্পেস থাকবে। এতে ১১৫টি চেক-ইন কাউন্টার, ৬৪টি প্রস্থান ও ৬৪টি ইমিগ্রেশন ডেস্ক, ২৭টি লাগেজ স্ক্যানিং মেশিন, ১২টি বোর্ডিং ব্রিজ এবং ১৬টি ক্যারোসেল থাকবে।

এছাড়াও, ১ হাজার ২৩০টি যানবাহনের জন্য একটি নতুন পার্কিং এবং একটি নতুন ৬৩ হাজার বর্গমিটার আমদানি ও রপ্তানি কার্গো কমপ্লেক্স থাকবে। টার্মিনালে অ্যাপ্রনের ওপর ৩৭টি উড়োজাহাজ পার্ক করার জন্য জায়গা থাকবে।

বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বছরে ৮০ লাখ যাত্রীকে পরিষেবা দিচ্ছে। প্রায় ১৩০টি অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ হাজার যাত্রী বহন করে থাকে।

বেবিচক সূত্র জানায়, ২০২৫ সালের মধ্যে যাত্রী সংখ্যা বছরে ১৪ মিলিয়ন এবং ২০৩৫ সালের মধ্যে প্রায় ২৫ মিলিয়নে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।