ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার সাহেবের হাট আলহাজ সফিউল্যাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের দপ্তরি মাহাবুবুল হক (৪৫) কে গুলি করে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আসাদুজ্জামান খান ওরপে পিন্টুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭।
বুধবার (৩১ মে) দিবাগত রাতে সোনাগাজী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি ১৭ বছর বিদেশে পলাতক ছিলেন।
শফিউল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ে দপ্তরি নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে স্থানীয় দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। এ নিয়ে ২০০২ সালের ২২ এপ্রিল দুপুরে মাহবুবুল হককে বিদ্যালয়ের মাঠের পাশে সন্ত্রাসীরা গুলি ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। এ সময় মাহবুবের ৭ম শ্রেণিতে পডুয়া ছেলে ও ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে স্কুলে উপস্থিত ছিলো। এ খুনের ঘটনা সে সময় দেশব্যাপী চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। ঘটনার পর স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া সোনাগাজী থানায় ১০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বিচারকার্য চলাকালীন সময়ে আসামি আসাদুজ্জামান খান ওরপে পিন্টু আদালত হতে জামিন নিয়ে ২০০৬ সাল হতে আত্মগোপনে চলে যান। আদালত পুলিশের তদন্ত এবং সাক্ষ্য শেষে আসামিদের অনুপস্থিতিতে ২০১১ সালের ৩০ মে হত্যার রায়ে আসাদুজ্জামান খান পিন্টুসহ মোট ৫ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ জনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
র্যাব-৭ জানায়, আসাদুজ্জামান খান পিন্টু গ্রেপ্তার এড়াতে ছদ্মনামে সোনাগাজী এলাকায় অবস্থান করছিলো। গোপন সংবাদে অভিযান চালিয়ে র্যাব-৭, ফেনী ক্যাম্পের একটি টিম বুধবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।