ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত (মোহাম্মদ এ আরাফাত) বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দুপুরে মনোনয়নপত্র জমা দেবেন।
জানা গেছে, আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় আগারগাঁও নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করবেন ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী প্রফেসর মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
এর আগে এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন ২২ জন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের নিজ দলের নেতা ছাড়াও ব্যবসায়ী এবং চলচ্চিত্র জগতের ব্যক্তিরাও ছিলেন।
সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ও চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক গত ১৫ মে মৃত্যুর পরে এই আসনটি শূন্য হয়। পরে গত ১ জুন এই আসনে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। সে অনুযায়ী আগামী ১৭ জুলাই হবে নির্বাচন। ব্যালটের মাধ্যমে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হবে।
ঢাকা-১৭ আসন উপ-নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৫ জুন, মনোনয়নপত্র বাছাই ১৮ জুন, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ জুন। এর আগে ৬ জুন পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন সবাই।
এদিকে, বুধবার (১৪ জুন) নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন বলেন, এ পর্যন্ত তিনটি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। এগুলোর মধ্যে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. মামুনুর রশিদ হার্ডকপিও জমা দিয়ে গেছেন। তিনি বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের মনোনীত।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দলীয় প্রতীকে কোনো প্রার্থী নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইলে সংশ্লিষ্ট দলের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বা তাদের মনোনীত কোনো ব্যক্তির মনোনীত হতে হয়। আইনের এই বিষয়টির ব্যত্যয় হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মনোনয়নপত্র বাতিল হবে।
তফসিল অনুযায়ী, উপ-নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বাছাই ১৮ জুন, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ জুন। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১৭ জুলাই।
দীর্ঘদিন রক্তে সংক্রমণজনিত রোগে ভুগে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে গত ১৫ মে মৃত্যুবরণ করেন চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক)। এরপর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে সংসদ সচিবালয়।
সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালামের জারি করা আসনটি শূন্য ঘোষণার প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ১৫ মে মৃত্যুবরণ করায় একাদশ জাতীয় সংসদের ১৯০, ঢাকা-১৭ আসনটি শূন্য হয়েছে।
সংসদের কোনো আসন শূন্য হলে নব্বই দিনের মধ্যে উপ-নির্বাচন করতে হয়। এই হিসাবে আসনটিতে ১২ আগস্টের মধ্যে উপ-নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। সংবিধান অনুযায়ী, সেই সময় ধরে পরবর্তী পাঁচ বছর মেয়াদ ধরলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অর্থাৎ আসনটিতে যিনি নির্বাচিত হবেন তিনি ছয় মাসের মতো সময়ের জন্য সংসদ সদস্য হবেন।