স্বাস্থ্য

রোববার ৪ কোটি ৪০ লাখ শিশুকে খাওয়ানো হবে ‘ভিটামিন এ প্লাস’ ক্যাপসুল

আগামী ১৮ জুন (রোববার) ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৪ কোটি ৪০ লাখ শিশুকে ‘ভিটামিন এ প্লাস’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। দেশের সব সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং অন্যান্য নির্ধারিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) রাজধানীর বনানীতে শেরাটন হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ১ লাখ ২০ হাজার কেন্দ্রে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়াবেন ৪০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী।

ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়াতে শিশুকে ভরা পেটে কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে। ৬ মাসের কম বয়সী ও ৫ বছরের বেশি বয়সী এবং অসুস্থ কোনো শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের ব্রিফিং শেষে একই স্থানে ‘বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

ম্যালেরিয়া দিবসের সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে এবং মশার কামড় থেকে নিরাপদে থাকতে সরকারিভাবে দেড় কোটি বিশেষ মশারি বিনামূল্যে মানুষকে দেওয়া হয়েছে। ভালো চিকিৎসা ব্যবস্থাসহ ম্যালেরিয়া নিয়ে সতর্ক থাকতে ভালো প্রচারণা করা হয়েছে। এর ফলে দেশে এ বছর ম্যালেরিয়ায় মৃত্যু শূন্যতে নেমে এসেছে। কয়েক বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বছরে ম্যালেরিয়া রোগী কমেছে ৭৮ শতাংশ এবং মৃত্যু কমেছে ৯১ শতাংশ। অথচ, ২০১৪ সালে দেশে ৫৭ হাজার ম্যালেরিয়া রোগী ছিল, মারা গিয়েছিল ৪৫ জন মানুষ। বর্তমান চিকিৎসাসেবা দেশের সর্বত্র পৌঁছে গেছে। মানুষ সঠিক সময়ে ভালো চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে বলেই ম্যালেরিয়া অনেক কমেছে।

উল্লেখ্য, দেশের রাঙ্গামাটি, বান্দরবান এবং খাগড়াছড়ি এই তিন জেলায় সবচেয়ে বেশি ম্যালেরিয়া রোগী পাওয়া যায়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন—স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. বর্ধন জং রানা, সিডিসি’র পরিচালক নাজমুল ইসলামসহ অন্যান্য ব্যক্তি।