জাতীয়

সেতুমন্ত্রীর বক্তব্য ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর: টিআইবি

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণ বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালকে জড়িয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যকে ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিকর ও অমূলক উল্লেখ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

তারা বলেছে, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকর্তৃক সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে টিআইবির ওপর চাপিয়ে দেওয়া এমন বক্তব্য দায়িত্বশীলতার পরিচায়ক নয়।

মঙ্গলবার (২০ জুন) গণমাধ‌্যমে পাঠানো টিআইবির পরিচালক, আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন শেখ মনজুর-ই-আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত মন্ত্রীর বক্তব্য টিআইবির দৃষ্টিগোচর হয়েছে উল্লেখ করে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই যে, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণ নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) বা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) কখনো কোনো কাজ করেনি এবং তা তাদের কর্মপরিধিতেও নেই। ফলে এ ব্যাপারে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা একেবারেই ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আরো উদ্বেগের বিষয়, মন্ত্রীর উক্ত বক্তব্যে এ বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে টিআইবির সম্পৃক্ততার অভিযোগ করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অমূলক। একইসঙ্গে, আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, টিআই ও টিআইবি কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে বা বিপক্ষে কাজ করে না। টিআইবি সম্পূর্ণ দলনিরপেক্ষ একটি প্রতিষ্ঠান। মন্ত্রীর ভিত্তিহীন মন্তব্য বিভ্রান্তিকর ও তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দায়িত্বশীলতার ঘাটতির পরিচায়ক।’

মন্ত্রীর বক্তব্যে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) উল্লেখ থাকলেও, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে টিআইবির নাম জড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে ড. জামান বলেন, ‘আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বাসসসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে টিআই ও টিআইবিকে মিলিয়ে ফেলা হয়েছে। এর আগেও বহুবার এ ধরনের ভুল লক্ষ্য করা গেছে, যা অনভিপ্রেত ও বিভ্রান্তিকর।’

উল্লেখ্য, গত ১২ জুন অন্য একটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের যাচাই-বাছাইয়ের আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দেয়। দৃশ্যত, এ দায় ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের অন্যতম শীর্ষ নেতৃত্বের মাধ্যমে অন্যায়ভাবে টিআইবির ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে টিআইবি।