সারা বাংলা

১৩ কিলোমিটার সড়কে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ 

ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি রোধে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গড়ে ওঠা অবৈধ সব স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে হাইওয়ে পুলিশ। এরই অংশ হিসেবে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার জামালদী থেকে বাউশিয়া পাখির মোড় পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার সড়কে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

রোববার (২৫ জুন) সকাল ১০টা থেকে বিকেল পর্যন্ত বাউশিয়া পাখির মোড়, দরি বাউশিয়া, ভবেরচর, আনারপুরা, ভাটেরচর, বালুয়াকান্দি ও জামালদী এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চলে।

ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এএসএম রাশেদুল ইসলাম বলেন, ঈদে ঘরে ফেরা মানুষকে যানজটের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দিতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে মহাসড়কের একাংশে অবৈধ দোকানপাট গড়ে তুলেছিল একটি চক্র। রোববার সেসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। ঈদে নিরাপদে, স্বস্তিতে এবং নির্বিঘ্নে যাতে ঘরমুখো মানুষ ঘরে ফিরতে পারেন এজন্য আমাদের এই তৎপরতা। 

তনি আরও বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যাতে দুর্ঘটনা ও চাঁদাবাজি রোধসহ শৃঙ্খলা বজায় থাকে সেজন্য তৎপরতা বাড়িয়েছে গজারিয়া ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ। 

গজারিয়া ভবেরচর হাইওয়ে থানা সূত্র জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা ব্রিজ থেকে দাউদকান্দি গোমতী ব্রিজ পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটারের দায়িত্ব রয়েছে ভবেরচর হাইওয়ে থানা। প্রতিদিন এই সড়কে দেশের পূর্ব এবং দক্ষিণ অঞ্চলের হাজার হাজার যানবাহন ও মানুষ চলাচল করেন। ঈদসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান এলে এই মহাসড়কে গাড়ির সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। বাড়তি গাড়ির চাপের কারণে মহাসড়কে দুর্ঘটনা, চাঁদাবাজি ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন ধরনের নৈরাজ্যের আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই হাইওয়ে পুলিশ এই ১৩ কিলোমিটার মহাসড়কে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তৎপরতা জোরদার করেছে। একই সঙ্গে সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে তিন চাকার যান যাতে মহাসড়কে চলাচল রোধেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। 

এছাড়া মহাসড়কে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, ফিটনেস ও রেজিস্ট্রেশনবিহীন গাড়ি চালানো এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স ও হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালানোয় ট্রাক, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হচ্ছে।