সারা বাংলা

মিয়ানমার থেকে আসা হাতির শাবক এখনো উদ্ধার হয়নি

মিয়ানমার থেকে নাফ নদী সাঁতরে কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ ঘোলারচরে আসা বন্য হাতির শাবকটি এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। শাবকটিকে উদ্ধার করতে বন বিভাগ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমের পাঁচ সদস্য কাজ করছেন।

বন বিভাগ জানায়, কয়েক বছর ধরে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে থেকে নাফ নদী সাঁতরে হাতির পাল টেকনাফে আসার ঘটনা ঘটছে। তাই ধারণা করা হচ্ছে, এই হাতি শাবকটি পাহাড়ি ঢলের কারণে দলছুট হয়ে নাফ নদী সাঁতরে মিয়ানমার থেকে এসেছে। শাবকটি কখনো ঝাউবাগানের ভেতর, আবার কখনো নাফ নদীর তীরে দৌঁড়াদৌঁড়ি করছে।

কক্সবাজার দক্ষিণ উপকূলীয় বন বিভাগের টেকনাফ রেঞ্জ কর্মকর্তা বশির আহমদ খান বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, মিয়ানমারে বৃষ্টির কারণে পাহাড়ি ঢল সৃষ্টি হয়েছে। এতে দলছুট হয়ে বা খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে নেমে আসে শাবকটি। পরে পথ হারিয়ে নাফ নদী সাঁতরে বাংলাদেশে চলে আসে হাতির শাবকটি। শাবকটির উচ্চতা ৭ ফুটের মতো।

এর আগে, গতকাল সোমবার সকাল ৮টার দিকে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহ পরীর দ্বীপ ঘোলারচর এলাকার ঝাউবাগানের পূর্ব পাশে হাতিটি দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। হাতি শাবকটি শাহ পরীর দ্বীপ ঘোলারচর এলাকায় ছোটাছুটি ও দৌঁড়াদৌঁড়ি করছিল।

বশির আহমদ খান আরও বলেন, ‘খবর পেয়ে বন বিভাগের ১০ থেকে ১২ জন এবং স্থানীয় লোকজন হাতি শাবকটিকে উদ্ধার করে নিরাপদে টেকনাফের বনাঞ্চল ফেরানোর চেষ্টা করছেন। গতকাল দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। আজ মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সকাল থেকে এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমের আরও পাঁচজন এসেছেন। তাঁরা উদ্ধার করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে যেখানে শাবকটি আশ্রয় নিয়েছে, সেটি ঝোপজঙ্গলের পাশাপাশি ঝাউগাছগুলো ১০ থেকে ১২ ফুটে বেশি হওয়ায় শাবকটির অবস্থান শনাক্ত করতে কষ্ট হচ্ছে।

সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুস সালাম বলেন, একটি বাচ্চা হাতি নাফ নদীর ঝাউবাগানে অবস্থান করছে এমন খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন সেটি দেখতে ওই এলাকায় ভিড় করছেন। বন বিভাগ ও হাতি উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা গতকাল দুপুর থেকে আজ বিকেল পর্যন্ত হাতি শাবকটিকে উদ্ধার বা টেকনাফের বনাঞ্চলে ফেরাতে পারেনি।