প্রবাস

কুয়েতের সুক আল-জুমায় ব্যবসায়ীদের বড় অংশই বাংলাদেশি

আধুনিক কুয়েতের সব শহরে অত্যাধুনিক শপিং মলগুলো সবার দৃষ্টি কাড়ার মতো হলেও দেশটির সুয়েখ এলাকায় মরুর বুকে ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির ছোঁয়ায় গড়ে ওঠা ‘সুক আল-জুমা’ বা ফ্রাইডে মার্কেট ব্যবসায়িক এলাকা হিসেবে বহুল পরিচিতি লাভ করেছে। এ মার্কেটে সপ্তাহে তিন দিন (বৃহস্পতি থেকে শনিবার) বেচা-কেনা হয় প্রচুর। এখানে আছে নতুন-পুরাতন নানা পণ্যের বিশাল সমাহার। স্থানীয় নাগরিকসহ প্রবাসীরা ভিড় করেন সেখানে। এ হাটে ক্রেতা বিভিন্ন দেশের হলেও বিক্রেতাদের বড় অংশই প্রবাসী বাংলাদেশি।

আগে ওই স্থানে খোলা আকাশের নিচে হাট বসত। এখন এ হাটের যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। তবে, শহুরে সব সুবিধা এখানে নেই। 

সুক আল-জুমা মার্কেটে পাওয়া যায় নতুন-পুরাতন ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতি, তৈরী পোশাক, বাসনপত্র, কার্পেট, ব্যাগ, ফার্নিচার, এক্সেসরিজসহ নানাকিছু।

শহরের শপিং মলগুলোতে নতুন পণ্য গ্যারান্টি দিয়ে বিক্রি করা হয়। কিন্তু, সুক আল-জুমায় গ্যারান্টি দেওয়া হয় না। পণ্যের মান প্রায় কাছাকাছি হলেও শপিং মলের চেয়ে এখানে দাম অনেক কম। যেমন: একটি সোফা সেট বহুল পরিচিত দাজিজ এলাকার মার্কেটে যদি ১৫০ কুয়েতি দিনারে বিক্রি হয়ে থাকে, তাহলে সেটি সুক জুমায় পাওয়া যায় অর্ধেক মূল্যে। 

সুক জুমায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা সব ধরনের ব্যবসা করছেন। মুন্সীগঞ্জের সাহাবুদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে সুক জুমায় সোফার ব্যবসা করছেন। প্রবাসী এ ব্যবসায়ী বলেন, ভালো-খারাপ দুটো মিলিয়েই চলছে ব্যবসা। দোকানভাড়া আগের চেয়ে একটু বেশি। স্থানীয় বাজারের নিয়মকানুন মেনে ব্যবসা করাও অনেকটা কঠিন। 

সুক আল-জুমার ব্যবসায়ী সিলেটের শামীম আহমদ। ১৫ বছর ধরে এ বাজারে পুরাতন ইলেক্ট্রনিক জিনিসপত্র বিক্রি করছেন এই ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, স্থানীয় বিভিন্ন অফিস ও নাগরিকদের কাছ থেকে পুরাতন জিনিসপত্র নিয়ে এসে এ বাজারে বিক্রি করে বেশ লাভ হচ্ছে। পুরাতন পণ্যের কোনো গ্যারান্টি নেই। কাস্টমার তার পছন্দের জিনিস কিনে নিচ্ছেন। কেনা পণ্য ফেরতযোগ্য নয়।

কুয়েতে অন্য সেক্টরের মতোই সুক আল-জুমায় অক্লান্ত পরিশ্রমে অর্জিত অর্থ দেশে পাঠানোর মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত আরও মজবুত করছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।