আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সক্ষমতা বহুগুণ বেড়েছে। রুপালি জগতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের ফলে মানুষের চাহিদাও খানিকটা কমেছে। যার প্রভাব হলিউডে দৃশ্যমান হয়েছে। ফলে গত মে মাসে ধর্মঘটের ডাক দেয় হলিউডের রাইটার্স গিল্ড।
এদিকে ঢাকাই সিনেমার সোনালি যুগের নায়িকাসহ কয়েকজন অভিনেত্রীকে নতুনভাবে হাজির করা হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে। মূলত, বাটার জিএম ও ডিজিটাল বিজনেস লিডার রাজীব জাহান ফেরদৌস কাজটি করে হইচই ফেলে দিয়েছেন। ছবিগুলো এখন নেট দুনিয়ায় ভাইরাল। কাজটি করতে ফায়ারফ্লাই ও ফটোশপের সহযোগিতাও নিয়েছেন তিনি।
শাবানা
এ বিষয়ে ছবিগুলোর ক্রিয়েটর রাজীব জাহান ফেরদৌস বলেন, ‘আশির দশককে বাংলাদেশি চলচিত্রের স্বর্ণযুগ বলা হয়ে থাকে। সেই সময়ে অনেক অসাধারণ সিনেমা দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তখনকার শিল্পীরা। ছোটবেলায় বাবা-মায়ের হাত ধরে সিনেমা হলে যেতাম। মধ্যবিত্ত পরিবারের বিনোদনের একটা বড় উৎস ছিল হলে গিয়ে মুভি দেখা। হল থেকে বের হয়ে বেলুন কিনে বাদাম খেতে খেতে রিকশায় মায়ের কোলে বসে বাসায় ফিরতাম। কী সুন্দর ছিল ওই দিনগুলো! সেই সময় দর্শকদের স্বপ্নের নায়িকারা যদি এই যুগের নায়িকা হতেন, তবে কেমন দেখতে হতেন? কেমন হতো তাদের স্টাইল? সেটাই প্রযুক্তির সাহায্যে দেখার চেষ্টা করলাম।’
নূতন
ছবিগুলো দেখে খোদ নায়িকারাই বিস্মিত। এরমধ্যে নূতন তার ওয়ালে নিজের কয়েকটি ছবি প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘এটা আমি! সত্যিই সুন্দর।’ সঙ্গে ধন্যবাদ জানান ছবিগুলোর ক্রিয়েটর রাজীব জাহান ফেরদৌসকে।
কবরী
এসব ছবি দেখে বিস্ময় প্রকাশ করছেন নেটিজেনরাও। মাহবুব আলম মাহি লিখেছেন, ‘অসাধারণ!’ অপূর্ব লিখেছেন, ‘আমার মনে হয়, এমন চিত্রকর্মের কথা তারা কখনো কল্পনাও করেন নাই। দারুণ!’ নুসরাত জাহান লিখেছেন, ‘রোজিনা আর কবরীকে দেখে মাথা ঘুরতেছে।’
সুচরিতা
তবে নেটিজেনদের কেউ কেউ দাবি করেছেন, ‘খুব শিগগির ফটোগ্রাফি জাদুঘরে চলে যাবে। সত্যি এটি হবে।’ তবে মির্জা সাঈদুল ইসলাম বেগ দ্বি-মত পোষণ করেছেন। তার মতে— ‘দিনশেষে হিউম্যান টাচ কিংবা ইন্সটিংট - এই জায়গাটায় এআই পিছিয়ে থাকবে। অর্গানিক কম্পিউটার তৈরি হলেও তার ব্রেন ফাংশন মানুষের লেভেলে আসতে পারবে না কখনো। কারণ ট্রেস ব্যাক করলে আসল কারিগর ওই মানুষই থাকবে।’
রোজিনা
অঞ্জনা
ববিতা
জয়া আহসান
পরীমণি
তানজিন তিশা