আন্তর্জাতিক

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল পাল্টানোর চেষ্টার অভিযোগ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে

২০২০ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে ওই নির্বাচনের ফলাফল পাল্টানোর চেষ্টা করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিন বছর পর আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে এ অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে আছে—যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণা, স্বাক্ষীকে হেনস্তা এবং জনগণের অধিকারের বিরুদ্ধে প্রতারণা। তবে, এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ৭৭ বছর বয়সী ট্রাম্প।

এর আগে রাষ্ট্রীয় গোপন নথির অপব্যবহার এবং অর্থের দিয়ে এক পর্ন তারকার মুখ বন্ধ রাখার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছিল ট্রাম্পকে। এখন তার বিরুদ্ধে আনা হলো তৃতীয় অভিযোগ।

২০২০ সালের নির্বাচনে ট্রাম্প হেরে যাওয়ার পরবর্তী দুই মাস এবং ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল হিলে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি তার সমর্থকদের হামলার বিষয়ে তদন্ত করা হয়েছে। এতে নেতৃত্ব দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের নিয়োগকৃত বিশেষ কাউন্সেল জ্যাক স্মিথ। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের রাজধানীতে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির হামলাটি আমেরিকার গণতন্ত্রের ওপর গুরুতর আঘাত ছিল।’

অভিযোগপত্রে ট্রাম্প ছাড়াও ছয়জন অজ্ঞাত ষড়যন্ত্রকারীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজন আইনজীবী, একজন বিচার বিভাগের কর্মকর্তা এবং একজন রাজনৈতিক পরামর্শক।

৪৫ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ট্রাম্প ক্ষতিসাধনের ষড়যন্ত্র এবং অসাধু উপায়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছেন। ট্রাম্প ভোটের কারচুপির যে অভিযোগ করেছিলেন, তা পুরোপুরি মিথ্যা এবং তিনি নিজে জানতেন, তার অভিযোগ মিথ্যা।

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে দিয়ে জো বাইডেনকে প্রেসিডেন্টে হিসেবে কংগ্রেসের স্বীকৃতি আটকাতে ব্যর্থ হন ট্রাম্প। তা সত্ত্বেও দাঙ্গা-হাঙ্গামার মাধ্যমে তিনি ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে চেয়েছিলেন।

এদিকে, আগামী ২০২৪ সালের নির্বাচনে আবারও প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেষ্টা চালাচ্ছেন ট্রাম্প। এর মধ্যেই তার বিরুদ্ধে নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ আনা হলো। 

তথ্যসূত্র: বিবিসি ও আল জাজিরা অনলাইন