আগের চেয়ে দ্বিগুণ শুল্ককর দিয়ে দিনাজপুরের হিলি বন্দরে আটকে থাকা জিরা খালাস করছেন আমদানিকারকরা। আগের ১৮৫০ মার্কিন ডলারের পরিবর্তে ৩৫০০ মার্কিন ডলারে জিরা বন্দর থেকে খালাস করছেন তারা। এদিকে, শুল্ককর দ্বিগুণ হওয়ায় প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দেশের জিরার বাজারে। ৮০০ টাকার জিরা বিক্রি শুরু হয়েছে বাজারে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি দরে।
রোববার (৬ আগস্ট) বিকেলে হিলি বন্দর ঘুরে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার থেকে রাজস্ব বোর্ডের বেঁধে দেওয়া শুল্ক করে জিরা খালাস করছেন আমদানিকারকরা। ১৮৫০ ডলার থেকে শুল্ককর বৃদ্ধি হয়েছে ৩৫০০ ডলার। পূর্বের নির্ধারিত শুল্কে বাজারজাত করার লক্ষ্যে প্রায় ৯ দিন আমদানিকারকরা জিরা বন্দরে খালাস না করে আটকে রাখেন। শেষে দ্বিগুণ শুল্ককর পরিশোধ করে জিরা খালাস করা হচ্ছে।
গত ২৭ জুলাই রাজস্ব বোর্ড থেকে হিলি কাস্টমসে জিরার উপর দ্বিগুণ শুল্ককরের নির্দেশনা আসে।
হিলির সিএন্ডএফ এজেন্ট ও আমদানি-রপ্তানিকারক রবিউল ইসলাম সুইট রাইজিংবিডিকে বলেন, হিলি কাস্টমসে গত ২৭ জুলাই রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা আসে জিরার আমদানির শুল্ককর দ্বিগুণ। ১৮৫০ মার্কিন ডলারের পরিবর্তে শুল্ক কর নির্ধারন করা হয় ৩৫০০ মার্কিন ডলার। দ্বিগুণ শুল্ককরে ক্ষতিতে পড়বে জিরা আমদানিকারকরা। তাই ভারত থেকে আমদানিকৃত ১৫০০ মেট্রিকটন জিরা খালাস না করে বন্দরে আটকে রাখেন আমদানিকারকরা। শেষে গত বৃহস্পতিবার থেকে রাজস্ব বোর্ডের বেঁধে দেওয়া নতুন শুল্ককরেই বন্দর থেকে জিরা খালাস করছেন আমদানিকারকরা।
হিলি পানামা পোর্ট লিংকের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহারব হোসেন প্রতাব মল্লিক বলেন, বন্দরে আটকা থাকা প্রায় ৫০টি জিরার ট্রাক গত বৃহস্পতিবার থেকে খালাস করতে শুরু করেছে আমদানিকারকরা। আজও তা চলমান রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বন্দরে ভারত থেকে জিরা আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। গতকালও দুই ট্রাক জিরা এ বন্দরে প্রবেশ করেছে। নতুন শুল্কায়নে জিরা আমদানি করছেন আমদানিকারকরা।