১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদৎবার্ষিকী।
যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করেছে জাপানের টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস।
দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জাপানে বসবাসরত বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশিসহ দূতাবাসের সব কর্মকর্তা–কর্মচারী দিবসের কর্মসূচিতে যোগদান করেন।
সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্যে দিয়ে শোক দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের সঙ্গে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ। এ সময় বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সব শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস ২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ।
পরে আগত অতিথি, জাপান প্রবাসী বাংলাদেশি, জাপান আওয়ামী লীগ এবং এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতারা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।
বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার এবং ১৯৭৫-এর সব শহিদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এছাড়া, অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র-প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।
রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ তার বক্তব্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে বলেন, তিনি ছিলেন বাঙালি জাতির মুক্তির স্বপ্নদ্রষ্টা ও স্বাধীনতার রুপকার। এ অবিসংবাদিত মহাপুরুষের দূরদর্শী, অকুতোভয় ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সমগ্র বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলো মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে ও মুক্তিযুদ্ধে। তার নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি স্বাধীন দেশ এবং বিশ্বের দরবারে স্বাধীন বাঙালি জাতির মর্যাদা।