খেলাধুলা

নতুন ইতিহাস গড়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে স্পেন

স্পেনের নারী ফুটবল দল তাদের ফুটবল ইতিহাসে নতুন এক নজির স্থাপন করেছে। প্রথমবারের মতো পৌঁছে গেছে বিশ্বকাপের ফাইনালে। আজ মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট, ২০২৩) বিকেলে অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে অনুষ্ঠিত প্রথম সেমিফাইনালে শেষ মুহূর্তের ঝড়ো তিন গোলের ম্যাচে ২-১ ব্যবধানে সুইডেনকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে স্পেনের মেয়েরা। শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে তারা অস্ট্রেলিয়া কিংবা ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে।

এর আগে সেমিফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে একই ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে নাম লিখিয়েছিল স্পেন। এবারের আগে মাত্র দুইবার বিশ্বকাপে খেলেছিল স্প্যানিশ মেয়েরা। ২০১১ সালে প্রথমবার অংশ নিয়ে গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নেয়। আর ২০১৫ সালে দ্বিতীয়বার অংশ নিয়ে তাদের যাত্রা থামে শেষ ষোলোতেই। এবার অবশ্য শেষ ষোলো, কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনালের গণ্ডি পেরিয়ে তারা পৌঁছে গেছে একেবারে ফাইনালে।

এদিকে আরও একবার সেমিফাইনালেই থামলো সুইডেনের যাত্রা। ১৯৯১ সাল থেকে বিশ্বকাপ খেলা দলটি এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো শেষ চার থেকেই বিদায় নিলো। সবশেষ ২০১৯ সালে তারা তৃতীয় হয়েছিল। এর আগে ২০১১ সালেও তৃতীয় হয়েছিল। আর ১৯৯১ সালে প্রথমবার অংশ নিয়েই সেমিফাইনাল খেলে তৃতীয় হয়েছিল তারা। আর ২০০৩ সালে একবারই খেলেছিল ফাইনাল এবং জার্মানির কাছে অতিরিক্ত সময়ে ২-১ গোলে হেরে রানার্স-আপ হয়েছিল।

আজও অবশ্য স্পেনের জয়ে দারুণ অবদান রাখেন ১৯ বছর বয়সী সালমা পারালুয়েলো। ৮০ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচটি গোলশূন্য ছিল। ৮১ মিনিটের মাথায় বদলি খেলোয়াড় হিসেবে নামা সালমা গোল করে এগিয়ে নেন দলকে।

অবশ্য বেশিক্ষণ তাদের এগিয়ে থাকতে দেয়নি সুইডেন। ৮৮ মিনিটের মাথায় রেবেকা ব্লোমকোভিস্ট গোল করে সমতা ফেরান। এই গোলের ৯৩ সেকেন্ডের মাথায় স্পেনের অধিনায়ক ওলগা কারমোনা দারুণ এক গোল করে দলকে এগিয়ে নেন। শেষ পর্যন্ত শেষ মুহূর্তে (৯০ মি.) করা তার গোলটিই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেয়। প্রথমবারের মতো টিকিট পাইয়ে দেয় বিশ্বকাপ ফাইনালের।