সারা বাংলা

খুলে দেওয়া হলো খুমেক ভবনসহ ৫ কক্ষের তালা,  ক্লাসে শিক্ষার্থীরা

তিন দফা দাবিতে দুই কার্য দিবস বন্ধ থাকার পর খুলে দেওয়া হয়েছে খুলনা মেডিকেল কলেজ ভবনসহ ৫টি কক্ষের তালা। একইসঙ্গে ক্লাসে ফিরেছেন শিক্ষার্থীরা। শনিবার (১৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে মেডিকেল কলেজ ভবনের প্রধান ফটক, অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, হাসপাতালের পরিচালক, ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালকের কক্ষের তালা খুলে দেয় শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন: দুই পক্ষই অনড় অবস্থানে, চিকিৎসকদের মামলায় আটক ২

এর আগে, গত বুধবার থেকে তিন দফা দাবিতে কক্ষগুলোতে তালা দেন শিক্ষার্থীরা। তাদের করা দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- খুমেক শিক্ষার্থী হাসান ফেরদৌসের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুইটি মডেল ফার্মেসি ও পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন।

আরও পড়ুন: খুমেকে তালা দিলেন শিক্ষার্থীরা, বিক্ষোভে ওষুধ ব্যবসায়ীরা

শিক্ষার্থীরা জানান, তিন দফা দাবিতে বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুই কার্যদিবস তারা ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ করেছেন। দাবিগুলো বাস্তবায়ন হওয়ায় তারা মেডিকেল কলেজ ভবনের প্রধান ফটকসহ ৫টি কক্ষের তালা খুলে দিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরেছেন।

আরও পড়ুন: ইন্টার্ন চিকিৎসক ও ব্যবসায়ীদের কর্মবিরতিতে বিপাকে রোগীরা

খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মো. মেহেদী নেওয়াজ জানান, এই আন্দোলন তৃণমূল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মন ছুয়ে গেছে। তারা তাদের দাবিতে অটল ছিলেন। তাদের দাবির অনেকটাই বাস্তাবায়ন হয়েছে। মডেল ফার্মেসির ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছেন। হামলাকারীদের কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করার। পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আশা করি এখানে দ্রুত স্থায়ী অথবা অস্থায়ী পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন হবে। 

আরও পড়ুন: খুলনায় ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

সংশ্লিষ্টরা জানায়, গত সোমবার রাতে খুলনা মেডিকেলের সামনে বিপ্লব মেডিসিন কর্ণারে ওষুধ কিনতে যান মেডিকেলের শিক্ষার্থী হাসান ফেরদৌস। দোকানি এক পাতা ওষুধের দাম ৭০ টাকা জানালে হাসান ফেরদৌস ১০ শতাংশ কমিশন বাদ দেওয়ার অনুরোধ করেন। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে দোকান মালিক বিপ্লব ওই শিক্ষার্থীকে অপমান করেন। এরপর ওই শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে গিয়ে ঘটনাটি জানালে অন্য শিক্ষার্থীরা ওই দোকানে যান। তখন কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ওষুধের দোকানিদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই ঘটনায় আহত হন ১০ থেকে ১৫ শিক্ষার্থী। এর জেরে বুধবার সকাল থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা।