ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার ঘোষণার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর বাজারে। খুচরা বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই খাদ্য পণ্যটির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ১০ থেকে ১২ টাকা। বর্তমানে এই বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৪৭ টাকা দরে। এর আগে, গত শুক্রবার বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রকার ভেদে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দরে।
এদিকে, ভারত সরকারের সিদ্ধান্তের কারণে পেঁয়াজের আমদানি কমবে এবং দাম বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
রোববার (২০ আগস্ট) দুপুরে হিলি বন্দর ও বাজার ঘুরে পেঁয়জের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি জানা গেছে।
ভারতীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়, নতুন করে আরোপিত শুল্ক হার শিগগিরই কার্যকর হবে। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তা বহাল থাকবে। দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং ক্রমবর্ধমান দামে লাগাম টানতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত কয়েক মাস ধরেই ভারতের স্থানীয় মার্কেটে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে।
হিলি বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা শাহাবুল ইসলাম বলেন, ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে নতুন করে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। যার ফলে আমদানিকারকরা বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। ফলে আমাদেরকেও বেশি দামে কিনে, বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে। বর্তমানে প্রতিকেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৪৭ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ হারুন জানান, পেঁয়াজ রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতে ভারত সরকার পেঁয়াজের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে। এর ফলে আমাদের দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অনেক বৃদ্ধি পাবে। সেই সঙ্গে বন্দরের ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষতির মুখে পড়বেন। কারণ আমাদের অনেক পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি করা আছে। যদি সেই পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ করতো, তাহলে দাম অনেকটাই স্বাভাবিক থাকতো। আমরা চাই দুই দেশের সরকারি কর্মকর্তারা বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করুক।