জাতীয়

নারী-শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধের আহ্বান

নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম।

শুক্রবার (২৫ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে নারী সমাবেশ ও মিছিল থেকে এ আহ্বান জানায় সংগঠনটি।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি প্রকৌশলী শম্পা বসু। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) এর সাধারণ সম্পাদক কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের উপদেষ্টা রওশন আরা রুশো, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট দিলরুবা নূরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তী।

সমাবেশ পরিচালনা করেন দপ্তর সম্পাদক রুখশানা আফরোজ আশা।

নেতারা বলেন, ইয়াসমিনের ওপর সংগঠিত বর্বরোচিত ঘটনার পর কেটে গেছে ২৮ বছর। নারী নির্যাতনের সংখ্যা, ধরন ও তীব্রতা বেড়েছে। কিন্তু নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সরকারি উদ্যোগ আরো কমে গেছে। সরকারি বেসরকারি তথ্য বলছে, পাঁচ বছর আগের তুলনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এখন মাসে গড়ে ৩৫০টি মামলা বেড়েছে। বিদ্বেষমূলক মন্তব্য, প্রতারণা, যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের আরেকটি বড় মাধ্যম হয়ে উঠেছে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম। আর অন্যদিকে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কার্যক্রমে মন্ত্রণালয়ের বাজেট  গত ছয় বছরের মধ্যে এখন সবচেয়ে কম। এ সময়ে বাজেট কমেছে ৬৩ শতাংশ।

তারা বলেন, বিচারহীনতা ও ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনৈতিক বলয় অপরাধ প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ধর্ষণের মামলায় ৯৭ শতাংশেরই কোনো সাজা হয় না। ফলে অপরাধী আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। অর্থ ও ক্ষক্ষতার বলয়ে থাকলে খুন-ধর্ষণ যেকোনো অপরাধ করে পার পেয়ে যায়, এই হচ্ছে বাস্তবতা।  মুনিয়া হত্যা, তনু হত্যার বিচার না হওয়া সেটাই প্রমাণ করে।

নেতারা বলেন, নারী নির্যাতন সমাজ বিচ্ছিন্ন কোনো বিষয় নয়। যে সমাজে বৈষম্য প্রকট, সে সমাজে নির্যাতন একটি স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়। নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস এই অন্যায়কে গুড়িয়ে দেওয়ার শিক্ষা দিয়ে যায়। নারী শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সামাজিক প্রতিরোধ প্রয়োজন। ইয়াসমিন ধর্ষণ ও হত্যার বিচারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলন আমাদের সেই শিক্ষায় দেয়।