সারা বাংলা

লালমনিরহাটে তিস্তা পাড়ের হাজারো মানুষ চরম ভোগান্তিতে

টানা বৃষ্টি  ও ভারতের গজলডোবা ব্যারেজ খুলে দেওয়ায় লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর পানি বাড়ায় ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে তিস্তা চরের ভাটিতে থাকা এলাকাগুলো। এর ফলে জেলার পাঁচ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পানি প্রবেশ করছে। 

আরও পড়ুন: তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, খুলে দেওয়া হয়েছে ৪৪ গেট

শনিবার (২৬ আগস্ট) খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিস্তার পানি পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, ছয়আনী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, ফকিরপাড়া ইউপির রমনীগঞ্জ, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না ইউপির পাটিকাপাড়া, হলদিবাড়ী, ডাউয়াবাড়ীতে প্রবেশ করেছে। কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা,কালমাটি, পলাশী ও লালমনিরহাট সদর উপজেলার ফলিমারীর চর, খুনিয়াগাছ, কুলাঘাট, মোগলহাট, বড়বাড়ি, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নও নদীর পানি প্রবেশ করেছে। এতে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। ডুবে গেছে অসংখ্য রাস্তাঘাট।

জেলার আদিতমারী গোবর্ধন এলাকার গোলাম রব্বানি মিরু বলেন, কাল সকাল থেকেই পানি বাড়ছে। বাড়িঘরে নদীর পানি ঢুকতে শুরু করেছে। আজকেও পানি বাড়চ্ছে। অনেক বিপদে আছি। ঘরের ভেতর পানি হাটু সমান। তাই খাটের ওপর চুলা তুলে রান্নার কাজ করতে হচ্ছে। গরু-ছাগল বাঁধে নিয়ে রাখছি। 

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। উজান থেকে ভারী ঢল আসায় পানি বৃদ্ধি হচ্ছে। আমরা খোঁজ রাখছি।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের পানিবন্দী পরিবারদের তালিকা দিতে বলা হয়েছে। তালিকা হয়ে গেলে শুকনো খাবার বিতরণ করা হবে। এছাড়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর খোঁজখবর নিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।