সারা বাংলা

সুনামগঞ্জে ভেঙে যাওয়া সেতু মেরামত, যান চলাচল শুরু

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের নলজোর নদীর ওপরে নির্মিত ভেঙে যাওয়া বেইলি ব্রিজ মেরামত শেষে সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুর-রানীগঞ্জ-ঢাকা মহাসড়কে সরাসরি যান চলাচল শুরু হয়েছে। ফলে জনদুর্ভোগ কমে জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

আজ মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বিকাল থেকে সুনামগঞ্জ- জগন্নাথপুর-রানীগঞ্জ-ঢাকা মহাসড়কে হয়ে সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার যানবাহন রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করছে।

গত ২২ আগস্ট বিকেলে ঢাকা থেকে সিমেন্ট বহনকারী ট্রাক নলজোর নদীর ওপরে নির্মিত বেইলি সেতুর ওপরে উঠলে এটি ভেঙে ট্রাক নদীতে পড়ে যায়। এতে ট্রাকচালক ও হেলপার নিখোঁজ হয়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যৌথ অভিযান পরিচালনা করে নিখোঁজদের লাশ উদ্ধার করে। ওই দিন থেকে এক সপ্তাহ সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুর-আউশকান্দি-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কে ঢাকার সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিছিন্ন ছিল। পরে গত বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) সেতুর মেরামত কাজ শুরু করে সড়ক ও জনপদ বিভাগের শ্রমিকরা। টানা ৫ দিনের মেরামতের কাজ শেষ করে আজ বিকাল থেকে আবারও এই ব্রিজে যানবাহন চলাচল শুরু করেছে। 

সুনামগঞ্জ- জগন্নাথপুর-রানীগঞ্জ-ঢাকা মহাসড়কে অর্থ ও সময় সাশ্রয়ী যাতায়াতের এই সড়কটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়ে সুনামগঞ্জ জেলার যাত্রীরা। যাত্রীদের গত সপ্তাহ ধরে অতিরিক্ত ভাড়া গুনে খেয়া মাধ্যমে সেতুর অংশের নদী পারাপার হয়ে যাতায়াত করতে হয়েছে।

জগন্নাথপুর উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দা মাহী তালুকদার বলেন, ‘এই সেতু গত জুলাই মাসেও একবার ভাঙছে। আমরা তখনও ভোগান্তিতে পড়েছিলাম। আমরা চাই এখানে বড় করে একটা সেতু দেওয়া হোক, যাতে আমরা শান্তিতে চলাচল করতে পারি।’  

সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল ইসলাম রাইজিংবিডিকে বলেন, যানবাহন চলাচলে এখন সেতুতে আর ঝুঁকি নেই। বাস ট্রাকসহ সব ধরনের ছোট বড় যানবাহন চলাচল করতে পারবে। তবে অভার লোডের গাড়ি যেতে পারবে না। একটা সাইনবোর্ড দেওয়া হয়েছে, ১০ টনের বেশি মালামাল বহন করা নিষিদ্ধ।

তিনি বলেন, আজকাল তো প্রায় দেখা যায়, পাথর সিমেন্ট রড বহনকারী ট্রাকগুলো ৩৫ টন ৪০ টন ওজন হয়ে যায়, এগুলোর জন্য ঝুঁকি। এই সেতু মেরামত করতে প্রায় ৫০ লাখ টাকা খরচ ব্যয় হয়েছে বলে জানান তিনি।

এ সময় প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘এখানে আরসিসি ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রকল্পের প্রস্তাব পাঠিয়েছি। বিভিন্ন সেতু সড়ক ও কালভার্ট মিলে একটা প্রকল্প করছি, এটা যাচাই বাচাই শেষে চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। আমরা আশা করছি, এটা সেপ্টেম্বরের মধ্যে পাস হয়ে আসবে।’