ভৌগলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে ‘বাংলাদেশের শীতলপাটি’ নিবন্ধনের সনদ পেয়েছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য নিবন্ধনের সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে নিবন্ধনের সনদ গ্রহণ করেছেন বিসিকের পক্ষে বিসিক চেয়ারম্যান মু. মাহবুবর রহমান। উপস্থিত ছিলেন মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) অখিল রঞ্জন তরফদার ও বিসিকের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস-২০২৩ উপলক্ষে পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর বিকেলে ‘Women and IP: Accelerating innovation and creativity’ শীর্ষক সেমিনার এবং সাম্প্রতিক সময়ে নিবন্ধনকৃত ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য নিবন্ধনের সনদ প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজন করে। ডিপিডিটির মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান এনডিসির সভাপতিত্বে শিল্প মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা।
দীর্ঘদিন ধরেই গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী শিল্প ‘বাংলাদেশের শীতলপাটি’ সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে সহযোগিতা করে আসছে বিসিক। পাশাপাশি শীতলপাটিকে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে নিবন্ধনের জন্য বিসিক, পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের (ডিপিডিটি) সাথেও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছে। ভৌগলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ের নেপথ্যে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সরবরাহ ও জার্নাল প্রকাশসহ যাবতীয় কার্যক্রম সম্পাদনের মাধ্যমে নিরলসভাবে কাজ করেছে বিসিক।
তারই ধারাবাহিকতায় গত ১২ জুলাই শীতলপাটিকে বিসিকের তৃতীয় ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য ও বাংলাদেশের ১২তম ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে নিবন্ধনের সনদ প্রাপ্তির জন্য বিসিক চেয়ারম্যান ডিপিডিটি বরাবর আবেদন করেন। ফলস্বরূপ, আজ শিল্প মন্ত্রী ও শিল্প সচিবের হাত থেকে সনদ গ্রহণ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের প্রথম ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য ‘জামদানি’র স্বীকৃতি সনদ ২০১৬ সালে ও সপ্তম ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য ‘শতরঞ্জি’র স্বীকৃতি সনদ ২০২১ সালে প্রাপ্ত হয় বিসিক।
এ ছাড়াও, অনুষ্ঠানে নাটোরের কাচাগোল্লা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আশ্বিনা ও ল্যাংড়া আম, রাজশাহীর ফজলি আম, বগুড়ার দই, শেরপুরের তুলশীমালা ধানসহ মোট সাতটি পণ্যকে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসিবে নিবন্ধন সনদ ও একমাত্র ব্যাক্তি হিসেবে বাংলাদেশের বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. মোবারক আহমেদ খানকে প্লাস্টিক ব্যাগের পরিবর্তে বাংলাদেশের পাট তথা সোনালী আঁশের পরিবেশ বান্ধব ব্যাগ তৈরির স্বীকৃতি হিসেবে পেটেন্ট সনদ প্রদান করা হয়।