ফটো ফিচার

প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া দেননি অভিনেতা, হতাশায় বলিউড ছাড়েন নায়িকা

বলিউড অভিনেত্রী-সংগীতশিল্পী সুলক্ষণা পণ্ডিত। সত্তর থেকে আশির দশকে বলিপাড়ায় নিজের পরিচিতি লাভ করেন তিনি। ৬৯ বছর বয়সী এই শিল্পী এখন বলিপাড়া থেকে বহু দূরে রয়েছেন। গুঞ্জন রয়েছে— প্রেমে ব্যর্থ বলিউড ছাড়েন এই নায়িকা!

১৯৭৫ সালে মুক্তি পাওয়া ‘উলঝান’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে সুলক্ষণার। এ সিনেমায় বলিউড অভিনেতা সঞ্জীব কুমারের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেন তিনি। জীতেন্দ্র, রাজেশ খান্না, বিনোদ খান্না, শশী কাপুর, শত্রুঘ্ন সিনহার মতো বলিউড অভিনেতাদের সহশিল্পী হিসেবে পেয়েছেন সুলক্ষণা।

১৯৭৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘বন্দি’ শিরোনামে বাংলা সিনেমায় উত্তম কুমারের সঙ্গে অভিনয় করেন সুলক্ষণা। অভিনয়ের পাশাপাশি গানের জগতেও নিজের পরিচিতি তৈরি করেন সুলক্ষণা। হিন্দি, বাংলা, মারাঠি, ওড়িশা এবং গুজরাটি ভাষায় গান গেয়েছেন তিনি। কিশোর কুমার, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, লতা মঙ্গেশকর, মহম্মদ রাফি, উদিত নারায়ণের সঙ্গে গান করেছেন সুলক্ষণা।

১৯৮৬ সালে লন্ডনের রয়্যাল অ্যালবার্ট হলে পারফর্ম করেন সুলক্ষণা। ১৯৯৬ সালে সর্বশেষ সিনেমার গানে কণ্ঠ দেন তিনি। ‘খামোশি: দ্য মিউজিক্যাল’ সিনেমার ‘সাগর কিনারে ভি দো দিল’ গানে কণ্ঠ দেন এই গায়িকা।

বলিপাড়ায় গুঞ্জন রয়েছে, সঞ্জীব কুমারকে প্রেম নিবেদন করেছিলেন সুলক্ষণা। কিন্তু অভিনেতা সুলক্ষণার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন তিনি। সেই সময় অন্য অভিনেত্রীর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন সঞ্জীব। সেই অভিনেত্রীকে দু’বার প্রেম নিবেদনও করেন সঞ্জীব। কিন্তু সঞ্জীবের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন সেই অভিনেত্রী।

প্রেমে ব্যর্থ হয়ে বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নেন সঞ্জীব। অন্যদিকে সঞ্জীবের সঙ্গে সংসার বাঁধতে পারবেন না বলে সুলক্ষণাও বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু সঞ্জীবকে মনের কথা জানানোর প্রভাব সুলক্ষণার ক্যারিয়ারে পড়ে।

এরপর ধীরে ধীরে সুলক্ষণার কাছে অভিনয়ের প্রস্তাব আসা কমতে থাকে। কাজ না পেয়ে মন আরো ভেঙে যায় তার। ১৯৮৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দো ওয়াক্ত কি রোটি’ সিনেমায় সর্বশেষ অভিনয় করেন সুলক্ষণা। এই সিনেমায় সঞ্জীবের সঙ্গে অভিনয় করেন তিনি।

১৯৮৫ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সঞ্জীব। এক সাক্ষাৎকারে সুলক্ষণার বোন বিজয়েতা পণ্ডিত বলেন— ‘সঞ্জীবের প্রয়াণের পর অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন সুলক্ষণা।’ ২০০৬ সালে বিজয়েতা তার বাড়িতে নিয়ে যান সুলক্ষণাকে। বিজয়েতার দাবি, ‘নিজেকে ঘরবন্দি করে রাখতেন সুলক্ষণা। কারো সঙ্গে কথা বলতে চাইতেন না তিনি।’

এরপর বাথরুমে পা পিছলে পড়ে গিয়ে মারাত্মক আঘাত পান সুলক্ষণা। তার চারবার অস্ত্রোপচার করা হয়। বর্তমানে হাঁটাচলা করতেও কষ্ট হয় এই অভিনেত্রীর।