গত ২৪ ঘণ্টায় বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি আরো ৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে এই নদীর পানি বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে, পানি বাড়লেও নতুন করে কোনো এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়নি। আজ শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) পর্যন্তই নদীতে পানি বাড়বে। আগামীকাল শনিবার থেকে পানি স্থিতিশীল অবস্থায় থাকবে।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই কর্মকর্তা বলেন, উজানের সব পয়েন্টে পানি কমতে শুরু করেছে। ওদিকে পানি কমলে আমাদের এদিকে আগামীকাল থেকে পানি আর বাড়বে না। ফলে আগামী রোববার থেকে আমাদের এখানেও পানি কমতে শুরু করবে বলে আশা করছি।
ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সারিয়াকান্দি উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের ৫-৭টি গ্রাম পুরোটাই ঝুঁকিপূর্ণ। এটা আমাদের বাঁধের বাইরে। নদীকূলে। গতকাল তো ভয়াবহ একটা ঘটনা ঘটে গেছে। আমরা খুবই চেষ্টা করছি ওরকম ঘটনা যেন আর না ঘটে। ভাঙন অনেকটাই আমাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসছে। আগামীকালকের মধ্যে এটা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। আমরা আরো কয়েকদিন এখানে কাজ করবো।
গতকাল যেভাবে ১২০০ মিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হলো, এরকম আর কোনো এলাকায় ঘটার আশংকা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ২০-২৫ কিলোমিটার সার্ভে করেছি। কামালপুর ইউনিয়নের ইছামারা, টিটুর মোড়, ফকিরপাড়া, খোকার মোড়, গোদাখালি মোড় মিলে ৪/৫ কিলোমিটার এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে পেয়েছি। সেখানে আমাদের কাজ চলমান আছে।
এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার নদীতে পানিবৃদ্ধি এবং পানির প্রবল স্রোতের কারণে কামালপুর ইউনিয়নের ইছামারা, টিটুর মোড়, ফকিরপাড়া, খোকার মোড় এই চারটি স্থানের মোট ১২০০ মিটার এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে ইছামারাতেই এক জায়গাতে ২০০ মিটার ও আরেক জায়গাতে ২০০ মিটার ছিল। এই জায়গাগুলোতেই একবারে ২০-২৫ ফুট দেবে গেছে।