সারা বাংলা

প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা আত্মসাৎ, ফেরত দিলেন ইউপি সদস্য

পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর বিরুদ্ধে এক শারীরিক প্রতিবন্ধীর ভাতার টাকা জালিয়াতি করে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ইউপি সদস্য থাকার সুবাদে ভাতা কার্ডে নিজের নম্বর ব্যবহার করে দুই বছর ধরে তিনি টাকা উত্তোলন করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। অবশেষে সেই টাকা ইউএনও'র মাধ্যমে ভুক্তভোগীকে ফেরত দিয়েছেন তিনি।

এর আগে এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) পাবনা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন ভুক্তভোগী শারীরিক প্রতিবন্ধী।

অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান বাবু চর তারাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নবনিযুক্ত সাধারণ সম্পাদক। 

ভুক্তভোগী একই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ভাদুরিয়াডাঙ্গী গ্রামের মৃত কেসমত শেখের ছেলে দিলবার শেখ।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর আগে শারীরিক প্রতিবন্ধী দিলবার শেখের নামে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড হয়। কার্ডের বিষয়ে কিছুই জানতেন না দিলবার। সম্প্রতি ভাতা কার্ডের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে গেলে তার নামে ভাতা কার্ড আছে বলে জানতে পারেন। সেই কার্ডে নগদের নম্বর হিসেবে বাবু মেম্বারের নম্বর দেওয়া আছে বলেও জানতে পারেন তিনি। গত দুই বছরে বাবু মেম্বার সেই নম্বরের সহায়তায় সব টাকা (২৫ হাজার) উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।

এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, ‌বিষয়টির সমাধান হয়েছে। ইউএনও সাহেব ডেকেছিলেন, সেখানে গিয়ে সব টাকা ফেরত দিয়েছি। 

প্রতিবন্ধীর টাকা আপনি আত্মসাৎ করেছেন কেন জানতে চাইলে, পরে কথা বলবেন বলে ফোনের লাইন কেটে দেন তিনি।

সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা অভিযোগ পেয়েছি। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। ইতোমধ্যে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ও ভুক্তভোগীকে উপজেলায় ডেকে আনা হয়েছিল। পরে ইউএনও ম্যাডামের মাধ্যমে ওই ইউপি সদস্য ভুক্তভোগী দিলবার শেখকে তার পাওনার সব টাকা ফেরত দিয়েছেন। এছাড়া তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হাসান শাহিন বলেন, ‘আপনার মাধ্যমে আমি বিষয়টি শুনলাম। আমি অভিযোগ এখনো পাইনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আওয়ামী লীগ করে এই ধরনের কাজের কোনো সুযোগ নেই।’