জাতীয়

পরিবেশগত ঝুঁকি রোধে টেকসই সমাধান খুঁজতে হবে: স্পিকার

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়াতে বিশ্বের চার ভাগের একভাগ লোক বাস করে। এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে সাথে পরিবেশগত ঝুঁকিও বাড়ছে।

তিনি বলেন, বৈশ্বিক পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশের অবদান সর্বনিম্ন হলেও পরিবেশগত ঝুঁকির দিক থেকে সবচেয়ে উপরে অবস্থান করছে। তাই পরিবেশগত ঝুঁকি রোধে উদ্ভাবনী টেকসই সমাধান খুঁজতে হবে।

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বনানীতে একটি হোটেলে ক্লাইমেট পার্লামেন্ট, দ্য আর্থ, অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন এবং ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশ আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ‘রিজিওনাল ক্লাইমেট সামিট ২০২৩’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

এ সামিটে ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের আহ্বায়ক নাহিম রাজ্জাক এমপি স্বাগত বক্তব্য, সভাপতি তানভীর শাকিল জয় এমপি বিশেষ বক্তব্য, চিফ প্যাট্রন সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে ক্লাইমেট পার্লামেন্ট ইন্ডিয়ার সভাপতি ড. সঞ্জয় জয়স্বল এমপি এবং পিকেএসএফ এর সভাপতি ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমেদ বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের সহসভাপতি ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি উপস্থিত ছিলেন।

স্পিকার বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জাতিসংঘের পরিবেশ-বিষয়ক সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’ প্রদান করা হয়েছে।

তিনি বলেন, পরিবেশগত সমস্যা সমাধানে নবায়নযোগ্য ও  গ্রীন এনার্জির ব্যবহার বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, পরিবেশগত ঝুঁকি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই কার্যকর সহযোগিতার পরিসর বৃদ্ধি করতে আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো তৈরি করা যেতে পারে। 

তিনি বলেন, পরিবেশ ইস্যুতে আঞ্চলিক ঐক্য বৃদ্ধিতে দেশ ও সীমানার ঊর্ধ্বে উঠে কার্যকর আলোচনা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, রিজিওনাল ক্লাইমেট সামিট ২০২৩ আয়োজন একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এই সামিট আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিবেশগত সংকট নিয়ে আলোচনা করার পথ প্রশস্ত করেছে।

তিনি বলেন, আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে পরিবেশগত ঝুঁকি মোকাবিলায় রিজিওনাল ক্লাইমেট সামিট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

‘টুওয়ার্ডস এ রিসিলেন্ট সাউথ এশিয়া:  রিজিওনাল ক্লাইমেট সামিট ২০২৩’ অনুষ্ঠানে ভারত, শ্রীলংকা ও নেপালের ক্লাইমেট পার্লামেন্টের সদস্য, সংসদ সদস্য, বিভিন্ন দেশের ক্লাইমেট পার্টনার্স, এনজিও’র প্রতিনিধি, আমন্ত্রিত অতিথিসহ সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।